বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ইউরোপে প্রবেশাধিকার নেই আমেরিকা ব্রাজিল ও চীনের নাগরিকদের

ইউরোপে প্রবেশাধিকার নেই আমেরিকা ব্রাজিল ও চীনের নাগরিকদের

আজ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে যাতায়াতের দরজা খুলে যাচ্ছে। তবে সব দেশের নাগরিক আপাতত ইইউতে ঢুকতে পারছেন না। ইইউ সদস্য ছাড়া বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রবেশাধিকারের যে তালিকা  তৈরি করা হয়েছে তাতে বাদ পড়েছে আমেরিকা, ব্রাজিল ও চীনের নাগরিকরা। এজন্য ১৪টি নিরাপদ রাষ্ট্রের তালিকা করা হয়েছে। সেই  তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ।

তবে কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ইইউ এই তালিকায় চীনকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, যদি চীন সরকারও একইভাবে ইউরোপীয় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে  দেয়।

এদিকে ইউরোপের নাগরিকদের জন্য ইইউয়ের সীমান্ত কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হচ্ছে। ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য ব্রেক্সিট চুক্তির আলোচনার অধীনে নতুন নিয়মে করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিট হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্রিটিশ বাসিন্দারা ইউরোপের নাগরিকের সমান মর্যাদাই পাবেন। যে কারণে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না ব্রিটিশ নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।

আপাতত নিরাপদ দেশের তালিকায় রয়েছে, আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মন্টেনিগ্রো, মরক্কো, নিউজিল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া এবং উরুগুয়ে। তাছাড়া যুক্তরাজ্য এখন কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে ‘এয়ার ব্রিজ’ পদ্ধতি আয়োজনের চেষ্টা করছে, এর মানে হল ব্রিটিশ নাগরিকরা ইউরোপের কোনো দেশে গেলে যাতে তাকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে না হয়।

আসন্ন গ্রীষ্মের ছুটি মাথায় রেখে এ ব্যবস্থা করতে চাইছে যুক্তরাজ্য। এ জন্য বর্তমানে ‘এয়ার ব্রিজ’ বা আকাশপথে চলাচলের ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বৃটেন, যাতে এই গ্রীষ্মের ছুটিটা করোনাভাইরাসের কারণে মাটি না হয়। গ্রীষ্মের এই ছুটিটা হলো ইউরোপের পর্যটন শিল্পের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। এ সময়ে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। মানুষ ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়েন একটু স্বস্তির জন্য। তবে স্পেনের মতো দেশ যারা নিজেদের পর্যটন শিল্প আগের মতো অবস্থায় নিয়ে যেতে চাইছে, তারা কিন্তু আবার কভিড-১৯ এ ভয়াবহতার অন্যতম শিকার হবার কারণে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়।

ফলে এখনই নিরাপদ দেশের তালিকায় থাকা নাগরিকদের ঢুকতে  দেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধান্বিত। অন্যদিকে গ্রিস এবং পর্তুগালের মতো দেশে রয়েছে, যাদের মূল আয় পর্যটন  থেকে আসে তারা কিন্তু ভাইরাসের ভয়ে ভীত নয়।

সর্বশেষ খবর