বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক জোট ন্যাটো এখন নানা সংকটে আবদ্ধ হচ্ছে। ট্রাম্পের নানা মন্তব্যের মধ্য দিয়ে এ সংকটের শুরু। এর মধ্যে দুই সদস্য রাষ্ট্র ফ্রান্স ও তুরস্ক জোটের মূলনীতির বাইরে অবস্থান করছে। মূলত তুরস্ক লিবিয়ায় হামলা ও সিরিয়ায় সেনা অভিযান নিয়েই এ দ্বন্দ্বের সৃষ্টি। সিরিয়ায় তুরস্কের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোর সামরিক অভিযান থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রান্স ন্যাটোর অপারেশন সি গার্ডিয়ান অভিযানে থাকছে না। দেশটির অভিযোগ, তুরস্ক লিবিয়ায় অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করছে। এমতাবস্থায় তাদের সঙ্গে কোনো যৌথ অভিযানে ইচ্ছুক নয় প্যারিস। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে ফরাসি যুদ্ধজাহাজকে হুমকি দেয় তুর্কির কয়েকটি জাহাজ। তবে ফ্রান্সের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে তুরস্ক। লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে ন্যাটোভুক্ত দেশদুটি। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

এ ছাড়া, সিরিয়ায় তুরস্কের আগ্রাসন এবং পূর্বাঞ্চলীয় ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের প্রাকৃতিক সম্পদ খননের মতো কারণে দেশটির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে ফ্রান্স। তবে গত ১০ জুন একটি ফ্রেঞ্চ ফ্রিগেট করবেট ভূমধ্যসাগরে একটি তানজেনিয়ার পতাকাধারী জাহাজে অনুসন্ধান চালাতে যায়। ফ্রান্সের ধারণা, ওই জাহাজে করে অস্ত্র পাচার করা হচ্ছিল। কিন্তু সে সময় একটি তুরস্কের জাহাজ চলে আসে ঘটনাস্থলে এবং তারা ফ্রেঞ্চ ফ্রিগেটকে অনুসন্ধানে বাধা দেয়। এমনকি ফ্রেন্স ফ্রিগেটকে আক্রমণেরও হুমকি দেয়।

এ ঘটনার পর থেকেই তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয় ফ্রান্সের। দেশটির দাবি, লিবিয়ায় অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করেছে তুরস্ক। তুরস্ক একাধিকবার এমন দাবি অস্বীকার করেছে। তবে সর্বশেষ তুরস্ককে চাপে ফেলতে নিজেকে ন্যাটোর অভিযান থেকে সরিয়ে নিয়েছে ফ্রান্স।