গত ২০ বছরে ভয়াবহ অন্তত পাঁচটি মহামারীর উৎপত্তি চীনে। সর্বশেষ কভিড-১৯ তো গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়ে ছাড়ছে। আক্রান্ত সোয়া কোটি ছুঁইছুঁই। মারা গেছে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ। শত কোটি মানুষ এ রোগ থেকে বাঁচতে ‘ছুটে’ চলছে। এর মধ্যে সেই চীনেই ভয়ঙ্কর আরেক রোগ প্লেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। করোনার পর বিউবনিক প্লেগের ভয়ে কাঁপছে দেশটি। যদিও এখন পর্যন্ত মাত্র দুজন রোগীর সন্ধান মিলেছে, তবে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে লেভেল-থ্রি সতর্কবার্তা জারি করতে বাধ্য হয়েছে চীন সরকার। তাদের দাবি, সংক্রমণে এখনই লাগাম না পরানো গেলে তা আরও এক মহামারীর আকার নিতে পারে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি অনলাইনের তরফে জানানো হয়েছে, গত শনিবার বায়ান্নুর একটি হাসপাতালে প্লেগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। এর পরই তড়িঘড়ি রবিবার বায়ান্নুর ও মঙ্গোলিয়া প্রদেশের কিছু অংশে লেভেল-থ্রি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। চলতি ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত এ নির্দেশিকা জারি থাকবে। অন্য রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুসারে পশ্চিম মঙ্গোলিয়ার খোভদ প্রদেশে সম্প্রতি দুই সম্ভাব্য বাবোনিক প্লেগ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। আক্রান্তের মধ্যে একজনের বয়স ২৭, অন্য জনের ১৭ বছর। তারা সম্পর্কে ভাই। হাসপাতালে দুজনের চিকিৎসা চলছে। তাদের সংস্পর্শে আসা আরও ১৪৬ জনকে চিহ্নিত করে আইসোলেট করা হয়েছে। জানা গেছে, দুই ভাই মারমেটের (তীক্ষè দাঁতওয়ালা কাঠবিড়ালি-জাতীয় প্রাণী) মাংস খেয়েছিলেন। সেখান থেকেই এ রোগ ছড়িয়েছে বলে খবর; যার জেরে মারমেটের মাংস না খাওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে।