বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

গণতন্ত্র রক্ষার্থে রুশ সংবিধান শোধনের দরকার ছিল : পুতিন

গণতন্ত্র রক্ষার্থে রুশ সংবিধান শোধনের দরকার ছিল : পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন দাবি করলেন তার দেশে সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে এমন সংবিধান ছিল যে, তার ধীরগতির মনোভাব দেশকে ধ্বংসের দিকে ফেলে দিয়েছিল। যার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের দুঃখজনক পরিণতি। আর তা আটকাতেই সংবিধান সংশোধন করা হলো। এই পরিবর্তন সঠিক। রাশিয়ার সরকারি এক নম্বর টিভি চ্যানেলকে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের প্রসঙ্গ তুলে এসব কথা বলেছেন। পুতিনের বক্তব্য, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সংবিধানের এই পরিবর্তন জরুরি ছিল। যে সংবিধান বিশেষ একটি শ্রেণিকে তাদের নিজেদের ও কমিউনিস্টদের ভাগ্যকে গোটা জাতির ভাগ্যের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার অনুমতি দেয় তা বিলম্বিত মনোভাব ছাড়া আর কিছু নয়। কাজেই তার  থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না। প্রেসিডেন্ট পুতিন সম্প্রতি রাশিয়ার সংবিধান পরিবর্তনে গণভোট শেষ করেন। সেই পরিবর্তনে আপাতত ২০৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। গত সপ্তাহে সংবিধানের পরিবর্তনের ওপর গণভোট করা হলে জনগণ পুতিনের অনুকূলে ভোট দিয়েছেন। সমালোচকরা বলছেন, ভøাদিমির পুতিন এ সংশোধনীর মাধ্যমে মূলত আজীবন ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছেন। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিকে মোটেও তার ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষার হাতিয়ার হিসেবে দেখতে নারাজ। তিনি সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন, ১৯৭৭ সালের সংবিধানে সরকারের সব কাজ কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল এবং এই পার্টির হাত থেকে অন্য কারও কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো সুযোগ ছিল না। তার জেরে কমিউনিস্টরা তাদের ভাগ্যকে জাতির ভাগ্যের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিল।

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন (৬৭)। আরও ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার দলিলে ৩ জুলাই সই করেন তিনি। ফলে ২০২৪ সালে  ক্ষমতার মেয়াদ শেষে আরও দুই মেয়াদে একই পদে থাকতে পারবেন পুতিন। সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে গণভোটে তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত হয়। এর আগে ১ জুলাই শেষ হওয়া গণভোটে সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে ভোট দেয় দেশটির ৭৮ শতাংশ নাগরিক। গণভোটে জয়ের প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার মানুষ জাতিগতভাবে একটি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের মানুষ নিজেদের হৃদয় দিয়ে এই পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল।’

১ জুলাই ভোটের নির্ধারিত দিন থাকলেও করোনার কারণে আগের এক সপ্তাহব্যাপী ম্যারাথন ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটে মোট ৬৪ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটদান করেছেন। এর মধ্যে সংবিধান সংশোধনের পক্ষে ৭৭.৯ ভাগ ভোট পড়ে। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ২১.৩ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর