রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

অবৈধ বসবাসকারী সবাই পাবে মার্কিন নাগরিকত্ব

বাইডেন-স্যান্ডার্সের ঘোষণা

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

অবৈধ বসবাসকারী সবাই পাবে মার্কিন নাগরিকত্ব

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ১১ মিলিয়ন (১ কোটি ১০ লাখ) অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে যারা কোনো অপরাধে লিপ্ত নন, তাদের সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়ার অঙ্গীকার করলেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জোসেফ আর বাইডেন। একই সঙ্গে গত সাড়ে তিন বছরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন সেগুলো বাতিলের কথাও বললেন জো বাইডেন। বাইডেনের সাবেক প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সকে সঙ্গে নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ‘ইউনিটি প্লাটফরম’ থেকে ৮ জুলাই এসব ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিভিন্ন দেশের বিশেষ করে মুসলমানদের জন্য ভিসা কঠিন করা, পারিবারিক কোটায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার রীতি রহিত, সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিনের মধ্যে। শুধু তাই নয়, নিউইয়র্ক, লস এঞ্জেলেস, ফিলাডেলফিয়া, বস্টন সিটির মতো ‘স্যাঙ্কচুয়ারি’ সিটির সংখ্যাও বাড়াবেন বলে উল্লেখ করেছেন বাইডেন। এ ছাড়া মামুলি অপরাধে কারাগারে থাকা অভিবাসীদের বহিষ্কারের পথও রুদ্ধ করা হবে। করোনাযুদ্ধে অবতীর্ণ স্বাস্থ্যকর্মী এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত অভিবাসীরা খুব দ্রুত গ্রিনকার্ড পাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী নানা কর্মসূচির সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে গ্রিনকার্ডধারী/ সিটিজেনদের স্বজনদের ভিসা স্থগিত করা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব ভিসা ইস্যু করা হবে না। অথচ পারিবারিক কোটায় যুক্তরাষ্ট্রে আসতে আগ্রহীরা ১৩/১৪ বছর আগে ফি দিয়ে আবেদন করেছেন। অনেকের ভিসা ইস্যুর প্রসেসও হচ্ছিল। এ জন্য পুনরায় ফি নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ রীতি অনুযায়ী সবকিছু অবলম্বনের পরও ভিসা পাচ্ছেন না ১০ লাখের বেশি স্বজন। এমন অমানবিক আচরণ হরদম ঘটছে ট্রাম্পের কারণে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর সভা-সমাবেশে অভিবাসনবিরোধী যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তা পুরোদমে বাস্তবায়িত করেছেন তিনি। যদিও কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ট্রাম্পের সর্বশেষ স্ত্রী বর্তমান ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ২০০৬ সালে সিটিজেনশিপ পেয়েছেন। এর আগে তাকেও অবৈধ অভিবাসীর অপবাদ নিয়ে বেশ কিছু দিন অতিবাহিত করতে হয়েছে। বাইডেন মনে করছেন, সুপরিকল্পিতভাবে অভিবাসন দফতরের কার্যক্রম এবং ইমেজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেওয়া হয়েছে। যেসব দেশের নাগরিকদের ভিসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং যারা প্রচলিত রীতি অনুযায়ী আবেদনের পরও ভিসা পাননি, সেগুলো পর্যালোচনার পর পুনরায় আবেদনের নির্দেশ দেওয়া হবে। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র রিফিউজি গ্রহণের সংখ্যা পুনরায় সোয়া লাখে উন্নীত করা হবে। উল্লেখ্য, ট্রাম্প সে সংখ্যা কমিয়ে মাত্র ১৮ হাজার করেছেন।

সর্বশেষ খবর