বিশ্বব্যাপী গত ছয় সপ্তাহে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই দেড় থেকে দুই লাখের অধিক মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ভারতে এর সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কোনোভাবেই যেন ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তবে এ অবস্থায়ও আশার আলো দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু। সংস্থাটি মনে করছে, করোনা মহামারী এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারলে অবশ্যই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস শুক্রবার জেনেভায় সংস্থাটির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ইতালি, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতীয় বস্তির উদাহরণ তুলে ধরেছেন গেব্রিয়াসিস। হু-প্রধান এ সময় বলেন, এসব দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেলেও দ্রুততর ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও বলেন, ‘বিশ্বে এমন বহু উদাহরণ ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে যে ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। এ উদাহরণগুলোর মধ্যে ইতালি, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি এশিয়ার সব থেকে বড় বস্তি মুম্বাইয়ের ধারাভির কথা বলা যায়।
কমিউনিটি সংক্রমণ শনাক্ত করা, পরীক্ষা করা, পৃথক করা এবং আক্রান্তদের সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বৃত্তকে ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছে তারা।’ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এ ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও।
