রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
‘সিটিজেন’-এর নিবন্ধ

নেকড়েযোদ্ধা কূটনীতি প্রয়োগ সত্ত্বেও চীনের ব্যর্থতা প্রকট

প্রতিদিন ডেস্ক

‘সম্প্রসারণবাদের ফাঁদে টেনে আনার জন্য অবিরাম কৌশলের পর কৌশল প্রয়োগ করে চলেছে। তাতে ফলোদয় হয়নি বললেই চলে। শুধু দুটি দেশকে - পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া - চীন ধরতে পেরেছে। এ দেশ দুটিও ভালো কোনো বিকল্প না পেয়ে তেতো বড়ি গিলছে।’ ‘দি সিটিজেন’ ম্যাগাজিনের এক নিবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে।

নিবন্ধটি লিখেছেন সাবেক লে. জেনারেল ভূপিন্দর সিং। বিনিয়োগ ও বন্ধুত্বের ছদ্মাবরণে দেশবিশেষকে নিজস্ব বলয়ে গেঁথে ফেলবার জন্য চীন যে কূটনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করে তাকে ‘নেকড়েযোদ্ধা কূটনীতি’ নাম দেন নিবন্ধকার (নেকড়ের মতো ক্ষিপ্রতা আর যোদ্ধার মতো বারবার চেষ্টা চালানো = ‘নেকড়েযোদ্ধা’)।

লে. জেনারেল ভূপিন্দর একসময় আন্দামান ও নিকোবরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘নেকড়েযোদ্ধা কূটনীতি’ হচ্ছে নির্লজ্জ সম্প্রসারণবাদী, মারমুখী আর অধিপতি হওয়ার বাসনাপ্রসূত কাজ যাকে চীন এখন রাষ্ট্রকৌশল হিসেবে প্রয়োগ করে। তা সত্ত্বেও এ কূটনীতির ব্যর্থতা প্রকট। নিবন্ধে বলা হয় : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ - ‘পার্ল স্ট্রিং পোর্টস’ এবং বন্ধুদেশের উন্নয়ন সহযোগী হওয়ার ছলে মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোয় সম্প্রসারণী আধিপত্য কায়েমের কাজটি করে যাচ্ছেন। কিন্তু চাতুরীতে ফলোদয় ঘটছে না। চীনের দেওয়া সুবিধাভোগীরাও গা-ঝাড়া দিচ্ছে। ২০১৬ সালে পাকিস্তানি সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের একটি কমিটির চেয়ারম্যান সতর্ক করে দেন যে, চীন-পাকিস্তান করিডোর দিন দিন চীনের পক্ষে আরেকটি ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’র রূপ নিতে চলেছে।

সর্বশেষ খবর