বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহটি ভৌগোলিকভাবে খুব অস্থির। এই গ্রহটি বেশি দিন শান্ত থাকতে পারছে না। পৃথিবীর কাছে থাকা ওই গৃহটি আসলে শুক্র। গ্রহটিতে পৃথিবীর মতো অনেক আগ্নেয়গিরিতে ভরা। এর মধ্যে ৩৭টি রয়েছে যেগুলো সক্রিয়। মাঝে মাঝে বড় বড় বিস্ফোরণও হয় এগুলোতে। সম্প্রতি মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই আগ্নেয়গিরিগুলো আবিষ্কার করেছেন। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন শুক্রে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে শুক্রের মাটিতে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মনে করা হয়, শুক্রের টেকটোনিক প্লেটগুলো এখনো অস্থির অবস্থায় রয়েছে। এমনকি এই আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণের ফলে অগ্ন্যুৎপাত ও ভূমিকম্পও দেখা দিয়েছে। জিওফিজিক্স ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী আনা গুলছার জানিয়েছেন, শুক্র মোটেই ভৌগোলিকভাবে শান্ত না। প্রায়ই এমন আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নেচার জিওসায়েন্সে এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের পর থেকে মোট ১৩৩টি আগ্নেয়গিরির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল শুক্রে। এর মধ্যে এখন ৩৭টি সক্রিয় রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই আগ্নেয়গিরির বেশিরভাগই আবার গ্রহটির দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত। এর মধ্যে জেটি সবচেয়ে বড় সেটি আকারে ২১০০ কিমি ব্যসবিশিষ্ট।
