মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

চেংদুর দূতাবাসে মার্কিন পতাকা নামিয়ে ফেলল চীন

চেংদুর দূতাবাসে মার্কিন পতাকা নামিয়ে ফেলল চীন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন অবস্থা দেখেনি আমেরিকা। যুদ্ধ পরিস্থিতির মতোই চীনের চেংদুর মার্কিন দূতাবাস থেকে আমেরিকার পতাকা নামিয়ে দিল স্থানীয় প্রশাসন। বেশ কয়েকদিন আগেই চীন আমেরিকার ওই দূতাবাসটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ওই দূতাবাসে কাজ চলছিল বলে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি। এরপর গতকাল দেখা যায় ওই দূতাবাস থেকে মার্কিন পতাকা নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমেরিকাকে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় চীন। প্রয়োজনে সরাসরি সংঘাতের পথে যেতে চাইছে তারা।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই হিউস্টনে চীনা দূতাবাস বন্ধ করেছে আমেরিকা। এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চীনের সমালোচনা করে দাবি করেন, গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র ছিল হিউস্টনের চীনা দূতাবাসটি। পম্পেওর আগে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও ওই চীনা দূতাবাসকে ‘কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল গুপ্তচরবৃত্তির নেটওয়ার্কের মূল ঘাঁটি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তার দাবি ছিল, হিউস্টনের চীনা কনস্যুলেট কূটনীতির জায়গা নয়, কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তি নেটওয়ার্কের কেন্দ্র, ওরা আমেরিকায় কলকাঠি নাড়ে, প্রভাব খাটায়।

আমেরিকা হিউস্টনের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ায় পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও আমেরিকাকে চেংদুর মার্কিন দূতাবাসটি বন্ধের নির্দেশ দেয়। নির্দেশিকা জারি করে বেইজিং জানায়, চেংদুতে মার্কিন দূতাবাসের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে। সেখানে আর কোনোরকম কাজ চালানো যাবে না। একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে হিউস্টনে চীনা দূতাবাস বন্ধ করেছে আমেরিকা। আমেরিকার একতরফা সিদ্ধান্তের জেরেই আইন মেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরই গতকাল দেখা যায় চেংদুর ওই দুতাবাসটির মার্কিন পতাকা অর্ধনমিত। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ‘চীন আমেরিকাকে ওই দূতাবাসটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। আমেরিকার কনস্যুলেট জেনারেলের উচিত এখনই ওই দূতাবাসের সব কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া।’

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তিব্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় কূটনৈতিক ও কৌশগলগত দিক থেকে চেংদুর দূতাবাসটি আমেরিকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ    ছিল। সম্ভবত সে কারণেই এ দূতাবাসটিকে টার্গেট করল চীন।

সর্বশেষ খবর