আর ঠিক ৯৯ দিন বাকি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প কি আবার জয়লাভ করতে পারবেন? নাকি একবারের জন্যই হোয়াইট হাউস ছিল ট্রাম্পের। ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমস্যা পিছু ছাড়েনি ট্রাম্পের। রাশিয়া আঁতাত, যৌন নিপীড়ন, ইমপিচমেন্ট হেন সমস্যা নেই যে যুদ্ধ করতে হয়নি ট্রাম্পকে। তবে ক্ষমতার শেষ বছরে ভয়ঙ্কর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে করোনা। যথাবিহিত নির্বাচনের আগে তার প্রভাবও দেখছেন ট্রাম্প। করোনা সংকট ও অর্থনীতির ওপর সেই সংকটের মারাত্মক প্রভাবের মাঝে কার্যত সব জনমত সমীক্ষায় ট্রাম্প পিছিয়ে পড়ছেন। আর তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। তবে ভোটারদের মতিগতি বুঝতে এমন সমীক্ষা যে নির্ভরযোগ্য নয়, চার বছর আগের নির্বাচনে তা অবশ্য প্রমাণ হয়েছিল। ডেমোক্র্যাট দলের হিলারি ক্লিন্টন আপাতদৃষ্টিতে এগিয়ে থেকেও নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে হেরে যান। কিন্তু এবার নিজের অস্তিত্ব বুঝতে পেরে আদাজল খেয়ে মাঠে নামলেন ৯৯ দিন আগেই। রবিবার ব্যাপক প্রচারণার আয়োজন করেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি বলেন, ‘নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ’ ভোটাররাই তাঁকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবেন। জনমত সমীক্ষায় খারাপ ফল সত্ত্বেও দমে যাওয়ার পাত্র নন ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেন, অনেকের মতে তাঁর প্রচারে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, তা আমেরিকার ইতিহাসে অনেক প্রচারাভিযানের সময় দেখা যায়নি। এমনকি তাঁর মতে ২০১৬ সালে তাঁর নিজের প্রচারকেও ম্লান করে দিচ্ছে ২০২০ সালের অভিযান। এতকাল প্রতিপক্ষ বাইডেনের ভাবমূর্তি খর্ব করতে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ছিলেন না, এমন অভিযোগ খ-ন করতে ট্রাম্প রবিবার তীব্র ভাষায় সেই ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘বাইডেনের প্রচারে কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা ৩ নভেম্বর কথা বলবেন। ভুয়া সমীক্ষা ও ভুয়া খবর র‌্যাডিকাল বাম শক্তিকে বাঁচাতে পারবে না।’ বাইডেনও হাত গুটিয়ে বসে নেই। করোনা সংকটের কারণে জনসমক্ষে তেমন উপস্থিত থাকতে না পারলেও তিনি নেপথ্যে যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছেন। বাইডেনের দাবি, তিনি ‘আমেরিকার আত্মা’র জন্য লড়াই করছেন। তিনি ভোটারদের উদ্দেশে ট্রাম্পের ক্ষমতা একটি কার্যকালেই সীমিত রাখার ডাক দিয়েছেন। বাইডেন এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আর ১০০ দিন পর আমাদের দেশকে নতুন পথে চালিত করার সুযোগ আসছে। যে পথে আমরা আমাদের উচ্চতম আদর্শ পূরণ করতে পারি এবং সব মানুষ সাফল্যের ন্যায্য সুযোগ পায়।’