বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

চীনকে কড়া বার্তা ভারতের

অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস করবে না দিল্লি

চীনকে কড়া বার্তা ভারতের

পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকাসহ কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিলেও এখনো বেশ কিছু জায়গায় নিজেদের সেনাবস্থান অপরিবর্তিত রেখেছে চীন। বিষয়টা মোটেও ভালো চোখে দেখছে না ভারত। দুই দেশের মধ্যে পঞ্চম পর্বের সেনাবার্তায় সোমবার দেশটি জানিয়েছে, প্যাংগং লেক আর পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চীন যেন সেনা পিছিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে। ওই দিন দুই দেশের জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা মোতায়েনের মতো বিষয় নিয়ে সমাধান বের করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। খবর নিউজ এইটিনের।

ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, দুই পক্ষের সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য পূর্ব লাদাখ সেক্টরে সীমান্তে সেনা কীভাবে মোতায়েন হবে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনা সেনাবাহিনীকে নিজেদের সীমান্তের শেষ বিন্দু অবধি পিছিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ভারতের সেনাবাহিনী কোনো অবস্থাতেই নিজের দেশের এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না। গালওয়ান এবং আরও কয়েকটি এলাকা থেকে চীন সেনা সরালেও এখনো বেশ কিছু জায়গায় নিজেদের সেনাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রেখেছে বেইজিং। প্যাংগং, ফিঙ্গরসহ কয়েকটি জায়গায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে তারা। গোগরা থেকেও এখনো নিজেদের সেনা পুরোপুরি ফিরিয়ে নেয়নি বলে অভিযোগ দিল্লির। ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরবনে সোমবার সকালে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তৃতভাবে জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষাবিষয়ক পরামর্শদাতা অজিত দোভাল আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যেও বৈঠক হয়েছে। সীমান্ত সমস্যা, সেনা মোতায়েন, নতুন রণনীতি স্থির করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে হাতাহাতি থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে ভারতের ২০ সেনা নিহত হয়। চীনেরও বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য হতাহত হয়েছে বলে ভারতের পক্ষে দাবি করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উইঘুর নির্যাতনে ক্ষোভ বাড়ছে : চীনের জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে পাকিস্তানে। দেশটির জনগণের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে গণমাধ্যমেও। সম্প্রতি পাকিস্তান সরকারের একটি সমীক্ষায় এ পরিস্থিতির বাস্তবতা ধরা পড়েছে। যদিও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের কাছে এ নিয়ে কখনো প্রতিবাদ জানায়নি। অনেকে বলছেন, উইঘুর নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে এখন পাকিস্তান সরকার নিজে কিছু না বলে ঘুরিয়ে জনগণের কাঁধে বন্দুক রাখার চেষ্টা করছে। খবর ডব্লিউআইও নিউজ ও এক্সবুলেটিনের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর