বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০

ব্যালট ভোট নিয়ে বিবাদ চরমে

ব্যালট ভোট নিয়ে বিবাদ চরমে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আশঙ্কা ডাকযোগে ব্যালট পাঠিয়ে ভোট হলে তিনি হেরে যাবেন। সেখানে জালিয়াতি হতে পারে। ফলে ডাকযোগে ভোট ব্যবস্থা বাতিলে মরিয়া তিনি। এ জন্য তিনি ডাক বিভাগের ব্যয় কমিয়ে দিয়েছেন। লোকজন ছাঁটাই করেছেন। আর বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হাতে রাখার চেষ্টা করছেন। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, ডাক বিভাগে ব্যয়সংকোচন করে ট্রাম্পই নির্বাচন বানচালের মতলব করছেন। এবার পার্লামেন্টেও সংঘাতের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। করোনা সংকটের মাঝে পার্লামেন্ট অধিবেশন আয়োজন মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে পরিস্থিতির চাপে রবিবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বড়সড় বিপর্যয় প্রতিরোধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিতে চান তিনি। চলতি সপ্তাহেই হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের অধিবেশনে বিরোধী দল সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। বিরোধী ডেমোক্র্যাট দল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছে। করোনা সংকটের সময় ভোট নিশ্চিত করতে বিভিন্ন রাজ্যে সব ভোটারকে ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক গভর্নররা এমন ‘মেইল-ইন’ ব্যালটের উদ্যোগ নিয়েছেন। ফলে দেশের প্রায় অর্ধেক ভোটার ডাকযোগে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু ট্রাম্প এমনই এক সংকটের সময়ে ডাক বিভাগের ব্যয়সংকোচনের যে বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার ফলে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিঘœ ঘটার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে ডাক বিভাগের অবকাঠামো ও কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে মার্কিন পোস্ট মাস্টার জেনারেল লুইস ডিজয় ও অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের কংগ্রেসে তলব করেছেন ডেমোক্র্যাটিক   দলের নেতারা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ফলে দেশজুড়ে চিঠিপত্র বিলির গতি ইতিমধ্যেই যেভাবে কমে গেছে, তার ফলে পোস্টাল ব্যালটকে ঘিরে ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা। বিরোধীদের অভিযোগ, জনমত সমীক্ষায় পিছিয়ে পড়ে নভেম্বরের নির্বাচন বানচাল করার মতলব করছেন ট্রাম্প। তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই বার বার দাবি করে চলেছেন, যে বেশি ‘মেইল-ইন’ ভোট দেওয়া হলে জালিয়াতি হতে পারে। অথচ ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রতি চারজন ভোটারের মধ্যে একজন এভাবে ভোট দিয়েছিলেন। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চললে ডেমোক্র্যাটিক দল ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডাক বিভাগের সব পরিবর্তন নাকচ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আগামী শনিবারই এক প্রস্তাব অনুমোদন করতে পারে। তবে সংসদের নিম্ন কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে সেটা সম্ভব হলেও উচ্চ কক্ষে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দল বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া ট্রাম্পের প্রচার অভিযানের আর্থিক মদদদাতা হিসেবে পোস্ট মাস্টার জেনারেল ডিজয় কংগ্রেসে আসতে অস্বীকার করলে ডাক বিভাগের পরিচালকম-লীর মাধ্যমে তাকে পদচ্যুত করার কথাও ভাবছে ডেমোক্র্যাটরা।

নির্বাচনের আগে জাতিসংঘে ‘ভেটো খেয়ে’ বিব্রত ট্রাম্প : ইরানবিরোধী প্রস্তাবে সর্বসম্মতি যে হবে না তা স্পষ্ট ছিল। ফলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চীন ও রাশিয়ার ভেটো প্রয়োগ হচ্ছেই তা বুঝতে পারছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই ভেটো খেয়ে পিছিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানতেন নিরাপত্তা পরিষদে তোলা ইরানবিরোধী আমেরিকার প্রস্তাব নাকচ হয়ে যাবে। নিউজার্সিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন এ কথা। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, এখানেই ট্রাম্পের বড় ধাক্কা। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই ধাক্কায় কিছুটা ব্যাকফুটে গেলেন তিনি। অন্যদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আব্বাস মুসাভি জানিয়েছেন, তেহরানের সক্রিয় কূটনীতি এবং পরমাণু কর্মসূচি ন্যায্য অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে ফের পরাজিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর