শিরোনাম
শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু-জিকা রুখতে ছাড়া হচ্ছে ৭৫ কোটি জিন বদলানো মশা

ডেঙ্গু-জিকা রুখতে ছাড়া হচ্ছে ৭৫ কোটি জিন বদলানো মশা

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ৭৫ কোটি জিন বদলে দেওয়া এডিস মশা ছাড়ার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ডেঙ্গু ও জিকার মতো প্রাণঘাতী রোগ বহন করা মশার সংখ্যা কমাতেই এ ধরনের জেনেটিক্যালি মডিফায়েড মশা ছাড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বিবিসি জানিয়েছে, জিন বদলে দেওয়া মশা নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর জোর প্রতিবাদ সত্ত্বেও ফ্লোরিডায় এই পাইলট প্রকল্প ইতিবাচক সংকেত পেল। এসব মশা পরিবেশের ক্ষতি ও ‘অনিচ্ছাকৃত পরিণতির’ দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে পরিবেশবাদীদের একটি দল একে ‘জুরাসিক পার্ক এক্সপেরিমেন্ট’ অ্যাখ্যা দিয়েছে। তারা বলছে, জিন বদলে দেওয়া এসব মশা বাস্তুসংস্থানের সম্ভাব্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং এসব মশার কারণে হাইব্রিড, কীটনাশক-প্রতিরোধী মশারও জন্ম হতে পারে। প্রকল্পটির সঙ্গে সম্পৃক্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি অক্সিটেক বলছে, জিন বদলে দেওয়া মশার কারণে মানুষ বা পরিবেশের কোনো ধরনের ক্ষতিই হবে না। এ নিয়ে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হওয়া বেশ কিছু গবেষণার দিকেও ইঙ্গিত করেছে তারা। কোম্পানিটি ২০২১ সালে ‘ফ্লোরিডা কীজ’ নামে পরিচিত দ্বীপগুলোতে এসব মশা ছাড়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউএস এনভায়রনমেন্টাল এজেন্সি যুক্তরাজ্যভিত্তিক অক্সিটেককে জিন বদলে দেওয়া পুরুষ এডিস এজিপ্টি মশা উৎপাদনের অনুমতি দেয়। এই এডিস মশাই মানুষের মধ্যে জিকা, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও পীতজ্বরের মতো প্রাণঘাতী রোগ ছড়াতে মূল ভূমিকা রাখে। কেবল স্ত্রী মশা মানুষকে কামড়ায়; এ কারণে অক্সিটেক পুরুষ এডিস মশা ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। জিন বদলে দেওয়া এসব মশার  সঙ্গে স্ত্রী মশার মিলনে যে স্ত্রী মশা জন্মাবে সেগুলো মানুষকে কামড়ানোর মতো বয়সে আসার আগেই মারা পড়বে। আর যেসব পুরুষ মশা জন্মাবে সেগুলোর  মধ্যেও বদলে দেওয়া জিন থাকবে। এভাবে ধারাবাহিকভাবে স্ত্রী এডিস মশার সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর