শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চীনা সাবমেরিন কেনা থেকে সরে এসেছে থাইল্যান্ড

প্রতিদিন ডেস্ক

‘করোনা মহামারীর প্রভাবে দেশের অর্থনীতির হতদশা চলছে; এ অবস্থায় ৭২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে চীনের তৈরি দুটি সাবমেরিন (ডুবোজাহাজ) কিনতে চলেছে থাই নৌবাহিনী। এটা খুবই অন্যায়। এটা হতে দেওয়া যায় না।’- থাইল্যান্ডের বিক্ষুব্ধ জনগণের এমন আওয়াজে সাড়া দিয়ে সে দেশের সরকার চীনা ডুবোজাহাজ কেনার কাজ থেকে সরে এসেছে। থাই পত্র-পত্রিকার খবরে বলা হয়, সরকারি মুখপাত্র অনুচা বুরাপাচাইশ্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়উথ চানোচা সাবমেরিন কেনা বিলম্বিত করার জন্য নৌবাহিনীকে অনুরোধ করেছেন। প্রায়উথ চানোচা একই সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। মুখপাত্র বলেন, ‘এখন নৌবাহিনী ডুবোজাহাজ কেনা এক বছর পেছানোর জন্য চীনের সঙ্গে আলোচনা করবে।’ জানা যায়, নৌবাহিনীর জন্য চীন থেকে মালামাল আনতে ২০১৫ সালে চুক্তি হয়। এই চুক্তির অধীনে ২০১৭ সালে ৩টি সাবমেরিন কেনার বিষয় চূড়ান্ত হয়েছে। প্রথম সাবমেরিনটি ২০২৩ সালে সরবরাহ করার কথা চীনের। এরই মধ্যে প্রস্তাব ওঠে ২২৫০ কোটি বাত (থাই মুদ্রা) অর্থাৎ ৭২৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে আরও দুটি সাবমেরিন আনা হোক। আগস্ট মাসে সংসদীয় উপ-কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন করে। সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে- ‘অর্থনীতির পতন ঠেকানোর সংগ্রামে লিপ্ত থাই জনগণ সাবমেরিন চায় না।’ প্রায়উত সরকারকে সামরিক বাহিনীর মিত্র সরকার গণ্য করা হয়। এই সরকারের পদত্যাগ দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই গণবিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীদের মতে, প্রায়উত সরকার অবৈধ। গত ২০ বছরের মধ্যে এ বছর দেশটির অর্থনীতি সবচেয়ে কাতর হয়ে পড়েছে; বিক্ষোভকারীরা এ জন্য প্রায়উত চানোচার সরকারকেই দোষারোপ করছে। ডুবোজাহাজ কেনা থেকে পিছিয়ে আসার বিষয়ে সরকারি মুখপাত্র অনুচা বলেন, অর্থনীতি সম্পর্কে জনগণের উদ্বেগকে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর