সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের লক্ষ্যে একটি ‘শান্তি চুক্তি’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরব বিশ্বের দেশ বাহরাইন। স্থানীয় সময় শুক্রবার টুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন। দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এ ঘটনাকে এককথায় ‘চমৎকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। আসছে মঙ্গলকার হোয়াইট হাউসে দেশ দুটির মধ্যকার এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলেও আভাস দিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে তৃতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছার ব্যাপারে সম্মত হয়। এক্ষেত্রেও ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে বলে খবরে বলা হয়। এ ঘটনার ৩০ দিন না যেতেই এবার আরেক মুসলিম দেশ বাহরাইন দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হলো। এ কথা জানিয়ে ট্রাম্প টুইটার বার্তায় জানান, ৩০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় একটি আরব দেশও ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করল। এটা সত্যিই একটা চমৎকার ঘটনা, যা অন্য কেউ করে দেখাতে পারেনি। দশকের পর দশক ধরে আরব দেশগুলো ইসরায়েলকে বয়কট করে আসছিল। এর ব্যতিক্রম ঘটিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এটি অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন ভূখ-ের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের ক্ষেত্রে একটি বড় ধাক্কা। এর আগে জর্ডান ও মিসর তেল আবিরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মিসর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত আর বাহরাইন-মধ্যপ্রাচ্যের এ চারটি দেশের স্বীকৃতি পেল ইসরায়েল। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধ নিষ্পত্তিতে জানুয়ারিতে ট্রাম্প ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা’ হাজির করেছিলেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সমঝোতায়ও তিনিই মধ্যস্থতা করেছেন।