শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাকালেও ভারতে ১৫ নতুন বিলিওনিয়ার

করোনাকালেও ভারতে ১৫ নতুন বিলিওনিয়ার

করোনা মহামারীর মধ্যেও গত ছয় মাসে ভারতে নতুন ১৫ জন শত কোটিপতি (বিলিওনিয়ার) তৈরি হয়েছে। বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস প্রকাশিত তালিকায় এ তথ্য জানা গেছে। তালিকায় মোট ১১৭ জন ভারতীয়ের নাম রয়েছে। মার্চ মাসে এই সংখ্যা ছিল ১০২। ওই সংখ্যায় আরও যোগ হয়েছে ১৫ জন। ১১৭ জন ভারতীয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি ডলার। একে ধনী-গরিবের মধ্যে পার্থক্য আরও বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। বিশ্বের শত কোটিপতির তালিকায় ভারতের মুকেশ আম্বানি ৬ নম্বরে। ভারত ছাড়াও এশিয়ার মধ্যেও ধনীতম রিলায়েন্স কর্ণধার। ১৮ সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ আট হাজার ৮২০ কোটি ডলার। ভারতে দ্বিতীয় স্থানে এইচসিএল টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার শিব নাদার। দুই হাজার ৬০ কোটি ডলারের মালিক নাদার বিশ্বে ৬৪ নম্বরে।

এর পর ভারতীয়দের তালিকায় ক্রমপর্যায়ে রয়েছেন আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি, কোটাক মহিন্দ্রা গ্রুপের কর্ণধার উদয় কোটাক, ডিমার্টের কর্ণধার রাধাকৃষ্ণ দামানি ও তার পরিবার, সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার সাইপ্রাস পুণাওয়ালার মতো ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় শত কোটিপতিদের তালিকায় সবচেয়ে নিচে ওয়েলস্প্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান বালকৃষ্ণ গোয়েঙ্কা। ১৮ সেপ্টেম্বর তার সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছুঁয়েছে। তার ওপর ক্রমান্বয়ে রয়েছেন রাধেশ্যাম আগরওয়াল, রাধেশ্যাম গোয়েনকা, বিনি বনসল, মুরলিধর বিমল কুমার জ্ঞানচন্দানি। তাদের সম্পত্তির পরিমাণ ১০১ কোটি ডলারের আশপাশে।

কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ভারতের অর্থনীতি ভয়ঙ্কর মন্দার প্রমাণ পাওয়া যায় সম্প্রতি। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি সংকুচিত হয়েছে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গত ৪০ বছরের ইতিহাসে জিডিপি পতনের এমন নজির নেই। লকডাউনের জেরে দেশটিতে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের যৌথ সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী লকডাউনের জেরে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারতে মোট ৪১ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। আর্থিক সংকটের এমন ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও গুগল, ফেসবুক, সিলভার লেকের মতো অন্তত ১২টি কোম্পানি বিপুল বিনিয়োগ করেছে মুকেশ আম্বানির রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে। অন্য বহু সংস্থা ছোটখাটো বিনিয়োগ পেয়েছে। অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর মূলধন বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের কারণে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি। ব্যবসার দিকে থেকে সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছে এমএসএমই বা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। অর্থনীতির এমন অবস্থার মধ্যেও করোনাকালে ভারতে জন্ম হয়েছে ১৫ জন নতুন শত কোটিপতির। আনন্দবাজার

সর্বশেষ খবর