বিশ্বের সর্বোচ্চসংখ্যক জন-অধ্যুষিত দেশ চীনের সঙ্গে সীমান্ত আছে ১৪টি দেশের। কিন্তু ২১টি দেশের সঙ্গেই তার কলহ-বিবাদ চলমান। জাস্ট আর্থ নিউজ জানায়, ‘জমি-পানি-দ্বীপ আমার’ এ রকম দাবি তুলে প্রসারণবাদী আচরণ করে বেইজিং। আরেকটি উদ্ভট কৌশলও অবলম্বন করে- ‘হাজার হাজার বছর আগে এ ভূমি আমাদের ছিল। তাই দখলমুক্ত করা আমাদের ঐতিহাসিক কর্তব্য।’ পর্যবেক্ষকরা বলেন, পুরনো খাসলত কি যায়? গায়ের জোরে পরের জমি কব্জা করে নেওয়ার বাসনা গোপন রাখতে চাইলেও তার অভিসন্ধি মাঝেমধ্যে ফাঁস হয়ে যায়। চীনের সঙ্গে সীমান্ত আছে আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, লাওস, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও ভিয়েতনামের। ভারতের সঙ্গে চীনের আছে ৩ হাজার ৪৮৮ কিমি সীমান্ত। লাদাখে ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা জবরদখল করে রেখেছে চীন। সম্প্রতি এ সম্প্রসারণকে কেন্দ্র করেই দুই দেশের সৈন্যরা মুখোমুখি হয়েছিল। আফগানিস্তান আর চীনের সীমান্ত ‘ওয়াখান করিডোর’ নামে পরিচিত। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে ১৯৬৩ সালে দুই দেশ চুক্তি সই করে। তা সত্ত্বেও বাদখশান প্রদেশের কিছু এলাকায় ভূমি গ্রাসে চীন সচেষ্ট। অরুণাচল প্রদেশের (ভারত) শহর তাওয়াংয়ের খুব কাছেই ভুটানের সাকতেং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ক’মাস আগে চীন আওয়াজ তোলে ‘সাকতেং একটি বিতর্কিত এলাকা’। জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়া অভিযোগ করে যে, তাদের নাতুনা দ্বীপের কাছে চীন অবৈধভাবে মাছ ধরছে এবং ভয় দেখানোর জন্য ওখানে চীনা জাহাজ টহল দিচ্ছে। ওই দ্বীপ এবং দক্ষিণ চীন সাগরের হিস্সা প্রশ্নে দুই দেশের মধ্যে কলহ চলছে। চীন দাবি করে, কিরগিজস্তান পুরোটাই তাদের। ঝগড়া-বিবাদ তীব্রতর হয়ে উঠলে ১৯৯৯ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির ভিত্তিতে দেশটি তার ১ হাজার ২৫০ বর্গকিমি এলাকা চীনের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়। একদা চীনের ছিল, তাই এখনো চীনের বলে বেইজিং যেসব দেশের নামোল্লেখ করে সেগুলো হচ্ছে- তাইওয়ান, মঙ্গোলিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, উত্তর কোরিয়া ও তাজিকিস্তান।