আল-কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালায় অভিযান চালিয়ে ৯ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে। এরা হলো নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল ম-ল, লিউ ইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল এবং আতিউর রহমান। এরা প্রত্যেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। বাকি ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয় কেরলের এরনাকুলাম থেকে। এরা হলো মুরশিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস, মোসারফ হোসেন। এই তিনজনও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা যদিও কাজের সূত্রে বেশ কয়েক বছর ধরে পেরামবাভুর এলাকায় বসবাস করতেন। এই ৯ জনই শ্রমিকের কাজ করত বলে জানা গেছে।
জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে যোগসাজেশ থাকার অভিযোগে গতকাল কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গের ১১টি জায়গায় সমান্তরালভাবে অভিযান চালানো হয়। এরপরই এই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অস্ত্র জোগানের লক্ষ্যে এরা কাশ্মীরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
এনআইএ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে এরা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার থেকে সন্ত্রাসীর পাঠ নিয়েছে এবং দিল্লিসহ আশপাশের এলাকায় বড়সড় নাশকতা সংগঠন করার ছক ছিল তাদের। গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও ভবনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোটা ভারতে সন্ত্রাসের বাতাবরণ ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করাই ছিল তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।এনআইএ-এর মুখপাত্র ডিআইজি সোনিয়া নারাং জানান ‘আল-কায়েদার এই মডিউলটি তহবিল সংগ্রহের ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে প্রশ্রয় দিত এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহের জন্য এই চক্রের কয়েকজন সদস্য দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু সন্দেহভাজন এই জঙ্গিদের আটক করার ফলে ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করা গেছে।’ জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজেশ থাকার অভিযোগ ওঠার পরই দীর্ঘদিন ধরেই এই ৯ ব্যক্তির গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ নথি, ডিজিটাল যন্ত্র, জেহাদি সাহিত্য, ধারালো অস্ত্র, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও বিস্ফোরক তৈরির নথি। আটক ব্যক্তিদের গতকালই স্থানীয় আদালতে তোলার কথা ছিল।
