সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মাংসের মান বাড়াতে পশুদের জিন বদল

মাংসের মান বাড়াতে পশুদের জিন বদল

রসনাবিলাসীদের প্রিয় খাবারের তালিকায় মাংস আছেই। এবার তাদের জন্য আরও সুখবর নিয়ে আসছে বিজ্ঞানীরা। ছাগল, গরু, মুরগির মাংস আরও বেশি সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন করার আয়োজন শেষ করে এনেছেন বিজ্ঞানীরা। মূলত গবেষকরা জিনে সামান্য রদবদল ঘটিয়েই এই কাজ করছেন। পরিবর্তিত জিনের ফলে ছাগল, গরুসহ যেসব পশুকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাদের ক্ষেত্রে বিশাল পরিবর্তন হবে। এসব পশু এমন স্পার্ম তৈরি করবে, যা রোগের সঙ্গে লড়বে, মাংসের গুণগত মানও অনেক ভালো হবে। জিনের পরিবর্তনকারী প্রযুক্তিটির নাম ক্রিসপর-ক্যাস ৯। আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যে গবেষকরা এটা বানিয়েছেন। সহজ কথায় বললে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন শুক্রাণু তৈরি করা যাবে, যা গরু, ছাগল, মুরগি, হাঁস, শূকরদের অনেকটাই নিরোগ করবে এবং মাংসের গুণগত মান বাড়াবে। ফলে পশুপালকরা স্বাস্থ্যবান পশুপালন করতে পারবেন।

ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির রিপ্রোডাকটিভ বায়োলজিস্ট জন ওটলি বলেছেন, এই প্রযুক্তির সাহায্যে খাদ্য উৎপাদনে দক্ষতা বাড়বে। বিশ্বে খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে যে সমস্যা আছে, সেটাও কমবে। নতুন প্রজাতির প্রাণীরা কম পানি পান করবে, কম খাবার খাবে, তাদের অনেক কম অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে। তবে এর আগেও পশুদের জিনে পরিবর্তন ঘটানো নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়েও বিতর্ক হওয়া স্বাভাবিক। কারণ, অনেক সমালোচকই জিনে কোনো ধরনের পরিবর্তনের বিরোধী। তারা মনে করেন, এর ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করা হবে? তার ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে? কিন্তু গবেষকরা বলছেন, তারা জিনে এমন পরিবর্তন করছেন, যেটা খুব স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে? এর ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার প্রশ্নই নেই? তবে বর্তমানে এ নিয়ে বিশ্বজুড়েই বিধিনিষেধ আছে। ফুড চেইনের ক্ষেত্রে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে সারোগেট পিতা তৈরি করা যায় না। তাদের বাচ্চাদেরও জিনগত পরিবর্তন ঘটানো যায় না?

সর্বশেষ খবর