বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া যুদ্ধ

শান্তি ফেরানোর আর্জি জাতিসংঘের

শান্তি ফেরানোর আর্জি জাতিসংঘের

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের জেরে বেসামরিক নাগরিকসহ প্রায় শতাধিক মানুষ মারা গেছেন। পাহাড়ি ছিটমহলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আজারবাইজানের একটি অংশ, তবে ১৯৯৪ সাল থেকে এটি জাতিগত আর্মেনিয়ানদের নিয়ন্ত্রণে।

আজারবাইজান তার সামরিক ক্ষয়ক্ষতি প্রকাশ করেনি, তবে সাতজন নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিন  দিন  আগে  থেকে  এই যুদ্ধ  শুরু  হয়েছে।

এদিকে দুই দেশের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে পৃথক ফোনালাপে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবেন তিনি। গত পরশুই এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, অবিলম্বে দুই পক্ষের উচিত সংঘর্ষ বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ পথে সমস্যার সমাধান বের করা। গুতেরেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন মহাসচিব। এদিকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার যুদ্ধাবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। গতকালই রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। আনুষ্ঠানিকভাবে জার্মানি ও ফ্রান্স এই বৈঠকের অনুরোধ জানালেও এতে সমর্থন রয়েছে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সদস্য দেশ বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য ও এস্তেনিয়ার।

অপরদিকে দুই পক্ষকে সংঘাত বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তিনি বলেছেন, ‘ওই এলাকায় আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা দেখছি এই দ্বন্দ্ব থামাতে পারি কিনা।’ দুই  দেশের সীমান্তে সশস্ত্র হিংসা থামাতে মার্কিন প্রশাসনকে দ্রুত উদ্যোগী হতে বলেছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনও। তবে গত দুই দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হিংসা বন্ধের আর্জি জানালেও নাগোরনো-কারাবাখে সংঘর্ষ থামেনি। নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার যুদ্ধে রাশিয়া ও তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলো জড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। কারণ আর্মেনিয়ার সঙ্গে সামরিক জোট রয়েছে রাশিয়ার। আর আজারবাইজানকে সমর্থন করছে তুরস্ক।

সর্বশেষ খবর