মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

অরুণাচলে সেনা টহলে জঙ্গি হামলা

জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল ২০ জঙ্গি এক জওয়ান নিহত

মধ্যে দীর্ঘদিন শান্ত ছিল উত্তর-পূর্ব ভারত। নতুন করে সেখানে জঙ্গি হামলায় ফের উত্তপ্ত হতে চলেছে এলাকাটি। রবিবার রাতে অরুণাচলের চাংলাং অঞ্চলে সেনা বাহিনীর একটি বহরে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন এক সেনা জওয়ান। আর এক জওয়ানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাংলাং অঞ্চলে সেনা শিবির থেকে ট্যাংকারে পানি ভরতে যাচ্ছিল সেনা বাহিনীর ট্যাঙ্কারসহ বহরটি। সূত্র জানাচ্ছে, রাস্তার পাশে জঙ্গলের ভিতর লুকিয়ে ছিল জনা ২০ জঙ্গি। বহরটি সেখানে পৌঁছতেই প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তারপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। সেনা জওয়ানরা কিছু করে ওঠার আগেই গা ঢাকা দেয় জঙ্গিরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ট্যাংকারটির সামনে আরও একটি অসামরিক গাড়ি ছিল। সেটিতেও বেশ কিছু গুলি লাগে। তবে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা আহত হননি।

অরুণাচলের কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী গতকাল পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তবে মনে করা হচ্ছে, পরেশ বড়ুয়ার আলফা স্বাধীন এবং নিকি সুমির খাপলাং শাখার জঙ্গিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। শুক্রবারই অরুণাচলের তিরাপ, চাংলাং, লংডিং জেলাকে অশান্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তারপরেই জঙ্গিরা এই আঘাত হানল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে গত বছর মে মাসে ওই অঞ্চলে একবার সেনার উপর আক্রমণ চালিয়েছিল জঙ্গিরা। নাগাল্যান্ডেও আক্রমণ চালানো হয়েছিল। এরপর মিয়ানমারে ঢুকে জঙ্গিদের আশ্রয় শিবির ধ্বংস করেছিল ভারতীয় সেনা। তারপর অরুণাচল, নাগাল্যান্ডে আরও কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। বস্তত, দীর্ঘদিন ধরেই ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনা চলছে ওই অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। অনেকেই অস্ত্র সমর্পণ করে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গত কয়েক বছরে উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের জেরে নতুন করে গোটা অঞ্চলে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।  এনআরসিকে কেন্দ্র করে গত বছরের শেষ থেকে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। ফের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আলোচনার টেবিলে বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারলে অশান্তি আরও বাড়বে। অরুণাচলের সীমান্তে চীন সেনাও বাড়িয়েছে। অরুণাচলকে অশান্ত করে দিয়ে চীন তার সুযোগ নিতে পারে বলে তারা মনে করছেন। ডয়েচে ভেলে

সর্বশেষ খবর