শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ইরানের খাদ্য ও করোনার ওষুধ কেনার সুযোগও কেড়ে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট

১৮টি ব্যাংকে নিষেধাজ্ঞ্রা

মার্কিন সরকার ১৮টি ইরানি ব্যাংকের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওয়াশিংটন বৈশ্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে তেহরানকে আলাদা করতে চাপ সৃষ্টি করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এই সিদ্ধান্তের কারণে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করবে।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এই পদক্ষেপ ১৮টি ব্যাংকের ওপর প্রভাব ফেলেছে, যারা এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের আগের নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই নতুন নিষেধাজ্ঞা ‘ইরান সরকারের আর্থিক সম্পদের ওপর প্রভাব ফেলবে যা তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি, ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসী প্রক্সি নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক প্রভাবকে সমর্থন করার জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল।’ অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আর্থিক খাত চিহ্নিত করা এবং ইরানের ১৮টি প্রধান ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের অবৈধ ব্যবহার বন্ধের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। তিনি আরও বলেন, ‘ইরান সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতি সমর্থন বন্ধ না করা পর্যন্ত এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ না করা পর্যন্ত আমাদের নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’ পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানের ১৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থার সঙ্গে ইরানের ব্যাংকগুলোর সরাসরি যোগাযোগের সব পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ইরানের জনগণ আরও বেশি ভোগান্তির মুখে পড়বে। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, মানবিক বিষয়গুলো ছাড়া অন্যসব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নতুন এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ওষুধ ও অন্য জরুরি পণ্যসামগ্রীসহ কোনো ধরনের পণ্যই ইরান বাইরে থেকে আমদানি করতে পারবে না। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ব্যাংকের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আসলে ইরানের খাদ্য আমদানি ও করোনা চিকিৎসার অবশিষ্ট সুযোগও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ খবর