বেশ কিছুদিন ধরে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কখনো কখনো সেই অস্থিরতা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের দেশে ফেরা উপলক্ষে আবারও সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড। গতকাল ব্যাংককে থাই রাজার গাড়িবহরকে উদ্দেশ করে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। বিরোধীরা থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি বছরের বেশিরভাগ সময় বিদেশে থাকা রাজা ভাজিরালংকর্নের ক্ষমতা কমানোর দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচারও পদত্যাগ চান তারা। তবে বিক্ষোভকারীদের বিরোধিতায় ব্যাংককের রতচাদম্নোয়েন এভিনিউয়ে সমবেত হয়েছিলেন রাজ পরিবারের সমর্থকরাও। তাদের অনেকেই এদিন রাজকীয় হলুদ রঙের টি-শার্ট পরে এসেছিলেন। সরকার সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষ এড়াতে দুই পক্ষের মাঝে অবস্থান নেন বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী। এ সময় বিরোধীপক্ষকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছাকাছি যেতে বাধা দেন তারা। সদ্য জার্মানিফেরত থাই রাজা গতকাল বিকালে রতচাদম্নোয়েন এভিনিউ দিয়ে বৌদ্ধদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। থাইল্যান্ডে রাজা বা রাজ পরিবারের বিরুদ্ধাচরণ গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। রাজার সমালোচনা করলে দীর্ঘ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে। তবে ছাত্রদের নেতৃত্বে গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিশাল বিক্ষোভ শুরু হয়। চলতি সপ্তাহেও দেশটির রাজধানীতে গত কয়েক বছরের মধ্যে বৃহত্তম বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, গত শনিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ১৮ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। যদিও এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ। পুলিশ বলেছে, বুধবার বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা ছিল। ঐতিহাসিক গণতন্ত্র ভাস্কর্য প্রাঙ্গণের বিক্ষোভ থেকে কিছু ফুলদানি ছুড়ে মারা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই সব শান্ত ছিল। সরকারবিরোধীদের কোনো বাধা ছাড়াই বিক্ষোভ করতে দেওয়া হয়েছে। বিবিসি