শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিক্ষোভের মুখেও পদত্যাগে নারাজ থাই প্রধানমন্ত্রী

বিক্ষোভের মুখেও পদত্যাগে নারাজ থাই প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে রাজধানী ব্যাংককে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছেই -এএফপি

থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থার মধ্যে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের মুখেও পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। দেশটির রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নর ক্ষমতা খর্ব করা এবং প্রধানমন্ত্রী ওচার পদত্যাগের দাবিতে প্রায় তিন মাস ধরে চলে আসা বিক্ষোভের মধ্যে বৃহস্পতিবার সরকার জরুরি ডিক্রি জারি করে চারজনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করে। এরপর এদিন বিকালেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককে বিশাল বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে।

এই বিক্ষোভের মুখেও গতকাল মন্ত্রিসভায় একটি জরুরি বৈঠকের পর ওচা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি পদত্যাগ করছি না। সরকারকে জরুরি ডিক্রি কাজে লাগাতে হবে। আমাদের এ পথে এগোতে হবে, কারণ পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠেছে। এই জরুরি ডিক্রি ৩০ দিনের জন্য বহাল রাখা হচ্ছে বা তার চেয়ে কম দিনও থাকতে পারে, যদি পরিস্থিতি শান্ত হয়।’ ‘আমরা জনগণকে এই জরুরি অবস্থার বিধিনিষেধ লঙ্ঘন না করার ব্যাপারে সতর্ক করে দিচ্ছি। আমরা বলছি, অপেক্ষা করুন, দেখুন কি হয়, আপনারা ভুল কিছু করলে আমরা আইনের আশ্রয় নেব।’ বিক্ষোভকারীরা ২০১৪ সালের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগ চায়। তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে গত বছরের নির্বাচনেও কারসাজি করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তবে ওচা বলছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল। বিক্ষোভকারীরা থাইল্যান্ডে সামরিক শাসনের অধীনে রচিত খসড়া সংবিধানের পরিবর্তে একটি নতুন সংবিধানও দাবি করেছে। পাশাপাশি ডাক উঠেছে রাজতন্ত্র সংস্কারের। রাজতন্ত্র দেশের রাজনীতিতে কয়েক দশকের সামরিক প্রভাবকে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা। প্রায়ুথ চান-ওচার সরকার যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে এবং পুলিশ যে ধরপাকড় চালিয়েছে তারও নিন্দা করেছে বিক্ষোভকারীরা। গতকাল বিকালে এসবের বিরুদ্ধে আবারও রাজধানী ব্যাংককে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে নামার পরিকল্পনা করেছে তারা। আল জাজিরা।

সর্বশেষ খবর