পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণে ১৯৪৭ সালে রাজা শাসিত কাশ্মীরে যে লাখ লাখ হিন্দু, শিখ ও মুসলমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, জীবন দিয়ে হানাদারদের পরাজিত করেছেন, তাদের স্মরণে ২২ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরে ‘কালো দিবস’ পালন করুন। এই ডাক দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ইউনিটি ফাউন্ডেশন।
ট্রিবিউন নিউজ সার্ভিস জানায়, ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবরের পাকিস্তানি ওই আগ্রাসনকে অনেকে কাশ্মীরি উপজাতীয়দের আক্রমণ বলে বর্ণনা করে।
ইউনিটি ফাউন্ডেশন ‘উপজাতীয় হামলা নয়-পাকিস্তানের সামরিক আক্রমণ’ শীর্ষক সেমিনার করে চলেছে। ২২ অক্টোবর জম্মু প্রেস ক্লাবে হবে সপ্তম সেমিনার।জম্মু-কাশ্মীর ইউনিটি ফাউন্ডেশন সভাপতি অজত জামওয়াল বলেন, সেমিনারে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানি সেনাদের নৃশংসতার চিত্র তুলে ধরা হবে। এটা এখন খুব দরকার। কারণ পাকিস্তান এখনো সন্ত্রাসী পাঠিয়ে কাশ্মীরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। সন্ত্রাসীরা এখানে ‘সিভিল কারফিউ’ জারি করছে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘিœত করছে।
জামওয়াল বলেন, পাকিস্তান ১৯৪৭, ১৯৬৫ আর ১৯৯৯ সালে সন্ত্রাসী ঢুকিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে গোলযোগ সৃষ্টি করেছে। এখনো দেশটি ‘জিহাদ’-এর নামে উপজাতীয়দের জড়ো করছে। তার সৈন্যদের উসকানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সম্প্র্রতি জাতিসংঘে যে ভাষণ দিলেন তাতেও ধরা পড়েছে যে, ৭২ বছরেও পাকিস্তানের আগ্রাসী মানসিকতা একটুও বদলায়নি।
কাশ্মীর উপত্যকায় যারা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে, শান্তি নষ্ট করছে, তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায় ইউনিটি ফাউন্ডেশন।
