বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ট্রাম্প-বাইডেনের বিতর্কে ‘মিউট সুইচ’

ট্রাম্প-বাইডেনের বিতর্কে ‘মিউট সুইচ’

মার্কিন নির্বাচনের আগে সবার চোখ থাকে প্রধান দুই প্রার্থীর সরাসরি বিতর্ক অনুষ্ঠানের দিকে। তবে এবার সেই অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকেই ত্যক্ত-বিরক্ত। গত মাসের শেষদিকে সেই প্রথম বিতর্কে মূলত বিতর্কের কোনো নিয়মই মানেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিশ্লেষকদের বক্তব্য তার আচরণ ছিল ছেড়ে দেওয়া ‘ষাঁড়ের’ মতো। ফলে এবার বিতর্কে নতুন নিয়মের ঘোষণা দিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এবার বক্তৃতার মাঝে কথা বলা যাবে না। বললে তা শোনা যাবে না। ট্রাম্প-বাইডেনের পরবর্তী বিতর্কে ‘মিউট’ (নিঃশব্দ) সুইচ ব্যবহার করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেনসিয়াল বিতর্ক সংগঠিত করার দায়িত্ব পালন করে প্রেসিডেনসিয়াল কমিশন অন ডিবেট। সোমবার তারাই এ কথা জানিয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখ প্রথম বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন ট্রাম্প এবং বাইডেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন ইতিহাসে এত উত্তপ্ত বিতর্ক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অভিযোগ, সেই বিতর্কে ট্রাম্প একাধিকবার বাইডেনকে থামিয়ে দিয়ে নিজের কথা বলার চেষ্টা করেছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একের পর এক বিষয়ে অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করেছেন বাইডেন। সেপ্টেম্বর ২৯-এর বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিতর্কে ১৫ মিনিট করে এক একটি বিষয় ভাগ করা হয়। একদম শুরুতে দুই বক্তাই দুই মিনিট করে বলার সুযোগ পান। গত বিতর্কে একদম প্রথম থেকেই দুই বক্তা দুজনকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। মিউট সুইচ সে জন্যই নিয়ে আসা হচ্ছে। কেউ কাউকে থামানোর চেষ্টা করলেই মিউট সুইচ ব্যবহার করে বাধাদানকারীকে চুপ করিয়ে দেওয়া হবে।

আগামীকাল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শেষ বিতর্কে মুখোমুখি হবেন। বিতর্ক ঘিরে অবশ্য উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। ট্রাম্পের বক্তব্য, যে বিষয়গুলো বিতর্কের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে, তা পক্ষপাতমূলক। দেশের পররাষ্ট্রনীতি বিতর্কে সেভাবে গুরুত্বই পাচ্ছে না। বাইডেন শিবিরের বক্তব্য, করোনা নিয়ে কথা বলতে চাইছেন না ট্রাম্প। কারণ, বলতে গেলেই নিজের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে যাবে। মার্কিন প্রেসিডেনসিয়াল বিতর্কের বিষয় নির্বাচন করে বিতর্ক কমিটি। দেখা যাচ্ছে, এ বছর আমেরিকার নাগরিকরা সব চেয়ে বেশি আলোচনা চাইছেন করোনা নিয়ে। সে কারণেই প্রতিটি বিতর্কেই করোনা রাখা হচ্ছে। বস্তুত, গত বিতর্কে ট্রাম্প বলেছিলেন, আমেরিকায় করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। কিছুদিনের মধ্যেই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু গত কয়েক দিনে ফের সেখানে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, ইউরোপের মতো আমেরিকায়ও দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে কারণে গত বৃহস্পতিবার দুই প্রার্থীর বিতর্ক হয়নি। বাইডেন চেয়েছিলেন বিতর্ক ভার্চুয়াল হোক। কিন্তু ট্রাম্প তাতে সম্মত হননি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা আরও কমেছে। ওপিনিয়ন পোলে ট্রাম্পকে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছেন বাইডেন।

সর্বশেষ খবর