রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নিশ্চিত হার তবু ‘জয়ী’

নিশ্চিত হার তবু ‘জয়ী’

জো জর্গেনসেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১৬ লাখের বেশি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে জো জর্গেনসেন

তার সামনে নিশ্চিত পরাজয়। তবু এক ধরনের ‘বিজয়’ ঘটে গেছে জো জর্গেনসেনের। সবার চোখ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর দিকে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া লিবার্টারিয়ান পার্টির নারী প্রার্থীও বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাক লাগানো ভোট পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত হওয়া গণনায় জো জর্গেনসেনের বাক্সে ১৬ লাখের সামান্য বেশি ভোট পড়েছে বলে তার প্রচার শিবিরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিএনবিসি। ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর এটাই এবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পাওয়া সবচেয়ে বেশি ভোট। জর্গেনসেনের পরে আছেন গ্রিন পার্টির হাউই হকিন্স; তার প্রাপ্ত ভোট ৩ লাখ ৩৯ হাজারের একটু বেশি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেবল এ কজনই ছিলেন না। দেশটির নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন ১ হাজার ২০০-এর বেশি ব্যক্তি। সিএনবিসি জানিয়েছে, দোদুল্যমান যে কয়েকটি রাজ্যের ভোটের ফলের ওপর এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেনের ভাগ্য নির্ভর করছে তার কয়েকটিতে লিবার্টারিয়ান পার্টি দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর ভোট কেটেছে বলেও ভাষ্য অনেক বিশ্লেষকের। যদিও জর্গেনসেনের মতে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাইরে থাকা দলগুলোর প্রার্থীরা প্রধান দুই দলের ভোটবাক্সে হাত দেন না। ‘আমি একে ভোট কাটা বলি না, কেননা এ ভোটগুলো মার্কিনিদেরই,’ সিএনবিসিকে এমনটাই বলেছেন এ লিবার্টারিয়ান প্রার্থী। দুই সন্তানের মা, ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক (যিনি গবেষণা করেন না, কেবল ক্লাস নেন) ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড অর্গানাইজেশনাল সাইকোলজিতে পিএইচডি ডিগ্রিধারী জর্গেনসেন লিবার্টারিয়ান পার্টির ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া প্রথম নারী। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সময় বিকাল পর্যন্ত তার প্রাপ্ত ভোট ১৬ লাখ ২১ হাজার ২৭৩টি ভোট বলে জানিয়েছে এনবিসি। অন্য দলগুলো ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির ভোট কাটে না বলে জর্গেনসন দাবি করলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘থার্ড পার্টি’গুলো যে ভোট পায় তা ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত জর্জিয়ায় জর্গেনসেনের প্রাপ্ত ভোট ৬১ হাজার ৩৯১টি। অন্যদিকে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে ব্যবধান ১ হাজার ৬০০-এর কম। এ দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান খুবই সামান্য হওয়ায় রাজ্যটিতে এখন ভোট পুনর্গণনা হবে।

কেবল এবারই নয়, ২০১৬ সালেও গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইন এবং লিবার্টারিয়ান পার্টির গ্রে জনসন গুরুত্বপূর্ণ ‘সুইং স্টেট’গুলোয় ব্যাপকসংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন। এ দুই প্রার্থী সেবার মিশিগানে একত্রে ২ লাখ ২২ হাজার ৪০০-এর বেশি ভোট পেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হতে হলে সেবার মিশিগান জিততেই হতো হিলারি ক্লিনটনকে। কিন্তু রাজ্যটিতে তিনি ট্রাম্পের কাছে ১০ হাজার ৭০৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর