শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জেলে যাওয়ার ভয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়তে নারাজ ট্রাম্প?

জেলে যাওয়ার ভয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়তে নারাজ ট্রাম্প?

জেলে যাওয়ার ভয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাই হোয়াইট হাউস না ছাড়ার ব্যাপারে এতটা মরিয়া হতে দেখা গেছে তাকে। সম্প্রতি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘ডেইলি মেইল’-এর এক প্রতিবেদনকে ঘিরে দানা বাঁধছে এমনই জল্পনা। টানটান উত্তেজনার শেষে আমেরিকার ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সাবেক কর্মকর্তাও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর ট্রাম্প গ্রেফতার হতে পারেন। সৌদি নিউজ চ্যানেল আল-আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রণালয়ের সাবেক মুখপাত্র অ্যাডাম এরলি এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার মতো বহু অভিযোগ রয়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ভোট হওয়ার পর ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হয়েছে চার দিন। বাংলাদেশ সময় শনিবার রাতে পেনসিলভানিয়ার ফলাফল সামনে আসতেই স্পষ্ট হয় হিসাবটা। যদিও হার স্বীকার করতে চরম অনীহা বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। এর পেছনে অন্যতম কারণ, তার কারাবন্দী হওয়ার আশঙ্কা। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

এবারের নির্বাচনের আগে থেকেই এমন জল্পনার কথা শোনা গেছে। আসলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। আইনি বিচার প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়া, সংবিধানের ধারা লঙ্ঘন, কর ফাঁকি ছাড়াও আরও অনেক ধরনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যার অন্যতম কয়েকটি ধর্ষণের মামলাও। ‘প্রাক্তন’ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই এ ধরনের মামলাগুলোর মুখোমুখি হওয়ার ভয় রয়েছে ট্রাম্পের। এমনকি প্রবল আশঙ্কা রয়েছে জেলে যাওয়ারও। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর হ্যারি স্যান্ডিকের মত, প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার পর প্রসিকিউটর ও সাক্ষীদের পক্ষে মামলা চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে।

ক্ষমতায় থাকাকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের বড়সড় সাহায্য পেয়েছিলেন ট্রাম্প। দেশের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও গত কয়েক বছরে তিনি কার্যত ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবীই হয়ে উঠেছিলেন। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সেই দুঁদে আইনজীবীর মূল্যবান পরামর্শও হারাবেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। এসব নানা কারণেই গদি ছাড়তে চূড়ান্ত নারাজ ছিলেন তিনি।

এরই পাশাপাশি আরও একটি আশঙ্কা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ শেষ হলেই তাকে নাকি ডিভোর্স দেবেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প! নিজেদের ১৫ বছরের সম্পর্কে দাঁড়ি টানবেন তিনি। আপাতত তিনি অপেক্ষা করছেন মেয়াদ শেষ হওয়ার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের। নির্বাচনে পরাজয়ের ধাক্কার পাশাপাশি এসব নানা কারণেই অস্বস্তি বাড়ছে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের।

সর্বশেষ খবর