বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরাচ্ছে ভারত-চীন

কোর কমান্ডার বৈঠকে সিদ্ধান্ত

পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) উত্তেজনা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য হয়েছে ভারত এবং চীনা সেনাবাহিনীর। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, গত শুক্রবার কোর কমান্ডার স্তরর অষ্টম দফার বৈঠকে প্যাংগং হ্রদ লাগোয়া অঞ্চলে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ সংক্রান্ত তিনটি পদক্ষেপের বিষয়ে ‘ইতিবাচক আলোচনা’ হয়েছে। লাদাখ সীমান্তে মুখোমুখি ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। কার্যত বারুদের স্তূপের ওপর রয়েছে গোটা অঞ্চল। সামান্য স্ফুলিঙ্গে ঘটতে পারে প্রবল বিস্ফোরণ। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এ পর্যন্ত আট দফা সামরিক বৈঠক হয়ে গেছে দুই দেশের মধ্যে। গত শুক্রবার চুশুল বর্ডার পয়েন্টে অষ্টম বার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। বৈঠকে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেন ১৪ নম্বর কোরের নতুন কমান্ডার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন। ওই বৈঠকের পর সরকার দাবি করে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক ও গভীর আলোচনা হয়েছে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা ও যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। এএনআই সূত্রে খবর, যে প্রাথমিকভাবে আলোচনার এক সপ্তাহের মধ্যে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন এলাকা থেকে ট্যাংক, কামান ও সামরিক যান সরিয়ে নেবে দুই পক্ষই। দ্বিতীয় দফায় প্যাংগং হ্রদের উত্তর পারে তিন দিন ধরে ৩০ শতাংশ সেনা প্রত্যাহার করবে দুই পক্ষ। এর ফলে ধন সিং পোস্টের কাছাকাছি চলে আসবে ভারতীয় সেনা। আর ফিঙ্গার ৮-এর পূর্বে আগের অবস্থানে ফিরে যাবে চীনা বাহিনী। সেনা অপসারণের তৃতীয় ধাপে, প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ পার থেকে সেনা সরবে দুই পক্ষ। উল্লেখ্য, হ্রদের এই পারেই রয়েছে চুশুল ও রেজাং লা পাস। সঠিকভাবে সেনা অপসারণ হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য দুই পক্ষই ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলবে বলেও খবর। তবে সেনা তরফ জানিয়েছেন, গালওয়ান উপত্যকা থেকে শিক্ষা নিয়ে চীনের ওপর সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর