বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভোটে হেরেই ইরানে হামলা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

ভোটে হেরেই ইরানে হামলা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

নির্বাচনে পরাজয়ের পরই ইরানে হামলার কথা ভেবেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এর সম্ভাব্য সময় ছিল গত সপ্তাহে। ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’কে একথা জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা। গত বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে ইরানের একটি  পারমাণবিক কেন্দ্রের ওপরে হামলার পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প। কিন্তু তাকে সেই সিদ্ধান্ত থেকে বিরত রাখেন অন্যরা। যদিও হোয়াইট হাউসের তরফে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী  মাইক পম্পেও, নতুন প্রতিরক্ষা সচিব ক্রিস্টোফার মিলারের মতো শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক পদস্থরা। ট্রাম্প তাদের কাছে এ বিষয়ে কীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা জানতে চান। কিন্তু অন্যরা তাকে বোঝান, প্রেসিডেন্ট পদের এ শেষ সময়ে তার এহেন পদক্ষেপ থেকে বড় সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। সব কথা শুনে পরে পিছিয়ে আসেন ট্রাম্প। সিদ্ধান্ত নেন পরিকল্পনা বাতিলের।

বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, বৈঠকে অন্য যারা হাজির ছিলেন তাদের বেশির ভাগই ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে এখন আঘাত হানার বিরোধিতা করেন। তাদের যুক্তি এতে হিতে বিপরীত হবে। ওই আঘাত হানার পরিপ্রেক্ষিতে বড়সড় সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে।  প্র্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ৪ বছরের শাসনকালের প্রায় গোটাটাই ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক থেকেছেন। তেহরান সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ ও অস্ত্রের মদদ জোগাচ্ছে এ অভিযোগ তুলে অন্য দেশগুলি যাতে ইরানের তেল কেনা বন্ধ করে তার জন্য নিরন্তর চাপ সৃষ্টি করেছে তার প্রশাসন।

কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে এ শেষ সময়ে আচমকা কেন এমন হামলার ছক কষতে চেয়েছিলেন তিনি?  অনেকে মনে করছেন, যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেলে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস ছাড়ার বিষয়টিতে বিলম্ব হতে পারে। পাশাপাশি, এর ফলে প্রেসিডেন্ট পদে কাজ শুরু করার মুহূর্ত থেকে জো বাইডেনের সামনেও বড় চ্যালেঞ্জ হাজির হবে। এমন সব ভাবনা থেকেই হামলার ব্লু প্রিন্টের ছক শুরু করেছিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 

সর্বশেষ খবর