শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ইসরায়েলের সেবায় এখনো ব্যস্ত ট্রাম্প

ইসরায়েলের সেবায় এখনো ব্যস্ত ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতার শেষ মুহূর্তে নজিরবিহীনভাবে দখলদার ইসরায়েলের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর ইহুদিবাদী লবিং গ্রুপকে খুশি করার জন্য ইসরায়েলের  সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন তিনি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গতকাল জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর ও অধিকৃত গোলান মালভূমিতে সফর করেন যা ছিল নজিরবিহীন। কেননা ফিলিস্তিনি ভূখ- জবরদখল করে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর  থেকে গত সাত দশক ধরে সব মার্কিন সরকার তেল আবিবকে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা দিলেও এখন পর্যন্ত  কোনো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গোলান মালভূমি সফর করেননি। মাইক পম্পেও শুধু ইসরায়েলকে খুশি করার জন্য সেই ঐতিহ্য ভেঙে গোলান মালভূমি পরিদর্শন করেন এবং পথিমধ্যে নজিরবিহীনভাবে পশ্চিম তীরের একটি অবৈধ ইহুদি বসতিতে যাত্রাবিরতি করেন। গোলান সফরে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেন, ‘গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের মালিকানার প্রতি সমর্থন জানাতেই আমি এখানে এসেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই অঞ্চলের ওপর ইসরায়েলের কর্তৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।’ এছাড়া, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের একটি অবৈধ ইহুদি বসতিতে যাত্রাবিরতিকালে বলেছেন, মার্কিন সরকার জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীকে ইসরায়েলের তৈরি পণ্য হিসেবে গণ্য করবে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আর মাত্র দুই মাস ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। এ স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি যতটা সম্ভব এমনসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন যাতে ইসরায়েলের কোনো দাবিই অপূর্ণ না থাকে।  ইরানের পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হাসান হানি যাদেহ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন, এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার বিজয়ের পেছনে ইহুদিবাদী লবির কাছে তিনি ঋণী ছিলেন। এ কারণে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে পারলে সর্বশক্তি দিয়ে ইসরায়েলের অবস্থানকে  জোরদার করবেন। বাস্তবতা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত চার বছরের শাসনকালে এমনসব বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছেন যাতে  কেবল ইসরায়েলের স্বার্থই রক্ষিত হয়।

সর্বশেষ খবর