রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

লস্কর-ই-তৈয়বার সাজিদকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

মুম্বাই হামলা

লস্কর-ই-তৈয়বার সাজিদকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাই নগরীতে সন্ত্রাসী হামলার দায়ে ভারতে দন্ডিত লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) এক সদস্যকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। হামলার প্রায় ১২ বছর পর দেশটির বিচারের জন্য পুরস্কার কর্মসূচির আওতায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সরকারের নোটিসে বলা হয়েছে, মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে হামলায় ভূমিকার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন এলইটির সিনিয়র সদস্য সাজিদ মিরকে ধরতে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল ভারতের সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের হোটেল, রেলস্টেশন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। ওই হামলায় প্রাণ হারায় ১৬০ জনের বেশি মানুষ। পাকিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বাকে এ হামলার জন্য দায়ী করে থাকে ভারত। গোষ্ঠীটির প্রশিক্ষণ পাওয়া ১০ জঙ্গি ওই হামলা চালায়। যার নয়জনই পাল্টা পুলিশি অভিযানে নিহত হয়। বেঁচে যাওয়া একমাত্র সদস্য আজমল আমির কাসাভের মৃত্যুদন্ড ২০১২ সালে কার্যকর করে ভারত।

মার্কিন বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাজিদ মির ছিল মুম্বাই হামলার অপারেশনাল ম্যানেজার। হামলার পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০১১ সালে একটি মার্কিন আদালত সাজিদ মিরকে সন্ত্রাসীদের উপকরণ সহায়তা দেওয়া, বিদেশি সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে অভিযুক্ত করে। ২০১৯ সালে এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট তালিকায় যুক্ত হয় সাজিদের নাম।

বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানবিরোধী বিক্ষোভ : ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের মুম্বাইয়ে হামলার সঙ্গে পাকিস্তান জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্র সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ বন্ধের জন্যও পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

২০০৮ সালে জঘন্য হামলার শিকারদের ন্যায়বিচার পাওয়ার দাবি জানিয়ে বেলজিয়াম ও মিসরে বেশ কিছু ব্যানার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সে সব ব্যানারের একটিতে লেখা ছিল-জঙ্গিবাদকে না বলুন। এদিকে, মালয়েশিয়ায় পাকিস্তান দূতাবাসের বাইরে লোকজন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের দাবি জানায় এবং জঙ্গিবাদ শেষ করারও আহ্বান জানানো হয়।

মুম্বাই হামলায় প্রাণ হারানো লোকদের শ্রদ্ধা জানাতে বালুর ভাস্কর্য তৈরি করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ডার্বানে। তাতে লেখা ছিল, ২৬/১১ ভুক্তভোগীদের সম্মানে...জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য। মুম্বাইয়ে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের ভূমিকার বিরুদ্ধে নেপালে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এদিকে ভারতীয় অভিবাসী এবং জাপানের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন পাকিস্তান দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করেছে, পাকিস্তানের দ্বারা সৃষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতাও করেছে তারা।

সর্বশেষ খবর