রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

১৩ দেশের বিরুদ্ধে আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে

বিবিসির বিশ্লেষণ

১৩ দেশের বিরুদ্ধে আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে

১৩টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তার মূল উদ্দেশ্য আসলে কী? সংযুক্ত আরব আমিরাতের জারি করা এ নিষেধাজ্ঞার কথা নিয়ে আলোচনা চলছে এমন এক সময়, যখন বৃহস্পতিবার দেশটির সঙ্গে ইসরায়েলের সরাসরি বিমান যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বার্তা সংস্থার রয়টার্সের এক খবরে বলা হচ্ছে, ১৩টি দেশের নাগরিকদের বেলায় ইউএইর ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শুধু ভ্রমণ ভিসার বেলায় নয়, কর্মসংস্থান ভিসার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ ১৩টি দেশের মধ্যে আছে- ইরান, তুরস্ক, সিরিয়া, সোমালিয়া, আলজেরিয়া, কেনিয়া, ইরাক, লেবানন, পাকিস্তান, তিউনিসিয়া, আফগানিস্তান, লিবিয়া এবং ইয়েমেন। এর মধ্যে কেবলমাত্র কেনিয়া ছাড়া প্রত্যেকটি দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিছু কিছু দেশের সঙ্গে রয়েছে ইরানের সঙ্গে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। কেন সংযুক্ত আরব আমিরাত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করল, সেটা তারা পরিষ্কার করে বলছে না। কাজেই এটা নিয়ে অনেক রকম জল্পনা চলছে। কোনো কোনো নিরাপত্তা বিশ্লেষক ধারণা করছেন, এর পেছনে হয়তো নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ কাজ করছে, বিশেষ করে সম্প্রতি সৌদি আরবে ফরাসি দূতাবাসে হামলার ঘটনার পর। কিন্তু এ যুক্তি অনেকে মানতে পারছেন না, কারণ সেই হামলায় জড়িত ছিল এক সৌদি নাগরিক। অথচ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এমন সব দেশের বিরুদ্ধে, যাদের বেশিরভাগ ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত বা যাদের সঙ্গে ইরানের উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক আছে। শুধু তাই নয়, এই ১৩টি দেশের মধ্যে ১১টি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সমালোচনা করেছে তীব্র ভাষায়। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ এবং নিরাপত্তাবিষয়ক বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মুনীরুজ্জামান মনে করেন, এরকমটা সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে।

সর্বশেষ খবর