শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সন্তান, জামাইয়ের দায়মুক্তির পথ খুঁজছেন ট্রাম্প

সন্তান, জামাইয়ের দায়মুক্তির পথ খুঁজছেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক মাস পরও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার নানা চেষ্টা-তদবির করে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ট্রাম্পের মতো কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ ছিল না। নারী কেলেঙ্কারি, ক্ষমতার অপব্যবহার সব অভিযোগই রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। মার্কিন একাধিক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জেলে যাওয়া থেকে মুক্তি পেলেও ক্ষমতা ছাড়ার পর তার জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর মধ্যে গত পরশু ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন ২০ জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা বাইডেনের কাছে হস্তান্তর করবেন। তবে চার বছর পর আবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়ার আগে তিন সন্তান, জামাই জারেড কুশনার ও ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিলিয়ানিকে সব রকম দায়মুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে চান ট্রাম্প। নিউইয়র্ক টাইমসসহ মার্কিন বিভিন্ন মিডিয়ায় এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

আলজাজিরা জানিয়েছে, ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর নিজের সন্তানদের ও জামাই জারেড কুশনারের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে নানা অনিয়মের তদন্ত হতে পারে। এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ জন্য তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে এ ব্যাপারে বিশদ আলোচনা করছেন। তার পরিবারের সদস্যরা যেন কোনোভাবে নিপীড়নের মুখে না পড়েন।

ট্রাম্প মনে করেন, জো বাইডেনের অ্যাটর্নি জেনারেল টার্গেট করতে পারেন ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র, এরিক ট্রাম্প, মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প, জামাই জারেড কুশনার ও আইনজীবী রুডি গিলিয়ানিকে। তাই তাদের ভবিষ্যতেও সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনার বিষয় নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। এর মধ্য দিয়ে ওইসব ব্যক্তিকে ফেডারেল চার্জ থেকে সুরক্ষিত রাখতে চান তিনি। তবে এমন রিপোর্টকে টুইটারে ফেক বা ভুয়া বলেছেন রুডি গিলিয়ানি। রক্ষণশীলদের টক শো উপস্থাপক সিন হ্যানিটির সঙ্গে রয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তিনিই সোমবার এ বিষয়টি সামনে আনেন। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর পুরো পরিবার ও নিজেকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় নেওয়ার পথ খুঁজছেন। কারণ তিনি বা তারা মনে করছেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হতে পারে। রুডি গিলিয়ানি বর্তমানে ফেডারেল প্রসিকিউটরদের তদন্তের অধীনে আছেন। সে তদন্ত হচ্ছে ইউক্রেন ইস্যুতে। অভিযোগ আছে, তিনি ও তার দুই সহযোগী ইউক্রেন সরকারকে জো বাইডেন ও তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেন সম্পর্কে ক্ষতিকর তথ্য সরবরাহের জন্য চাপ দিয়েছিলেন।

এখানে উল্লেখ্য, প্রেসিডেনশিয়াল পারডন বা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার আওতায় সাধারণ ক্ষমায় শুধু ফেডারেল চার্জ বা অভিযোগ ও শাস্তি অন্তর্ভুক্ত। যারা এমন ক্ষমা পান তারা কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে এ সুবিধা পান না। নিউইয়র্ক টামইস

সর্বশেষ খবর