রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

৩০ হাজার বন্দীকে ক্ষমা করলেন থাই রাজা

আরও দুই লাখ বন্দীর সাজা কমিয়ে ডিক্রি জারি

৩০ হাজার বন্দীকে ক্ষমা করলেন থাই রাজা

প্রয়াত থাই রাজা ভূমিবল আদুলাদেজের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দেশটির রাজধানী ব্যাংককের সানাম লুয়াং এলাকায় এক স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে অংশ নিতে আসা রাজপরিবারের অনুগতরা বর্তমান রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন ও রানী সুতিদার ছবি হাতে আনন্দ উল্লাস করেন -এএফপি

কিছুদিন ধরে থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। মূলত রাজার ক্ষমতা কমানোর লক্ষ্যেই ছিল এ অস্থিরতা। সুখবর হচ্ছে প্রয়াত থাই রাজা ভূমিবল আদুলাদেজের জন্মবার্ষিকীর প্রাক্কালে কমপক্ষে ৩০ হাজার বন্দীর সাজা মওকুফ এবং আরও ২ লাখ বন্দীর সাজা কমিয়ে দেশটির বর্তমান রাজার পক্ষ থেকে একটি ডিক্রি জারি করা হয়েছে। রাজপরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়। গতকাল বাবা ভূমিবলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির বর্তমান রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন বন্দীদের সাজা মওকুফ ও কমানোর এই ডিক্রি জারি করেন। ব্যাংকক পোস্ট জানায়, সাজা কমানোর এই তালিকায় সাংবাদিক সোরায়ুথ সুথাসসানাছিনদা, রেড শার্ট নামক বিক্ষোভের নেতা নাত্তাউত সাইকুয়ার এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বুনসং তেরিয়াপ্রিয়মও রয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও তার বোন আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সমর্থনে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য কারাদন্ড ভোগ করছেন রেড শার্ট বিক্ষোভের নেতা নাত্তাউত সাইকুয়ার। এ ছাড়া ইংলাক সিনাওয়াত্রা যখন প্রধানমন্ত্রী তখন ধানের ব্যবসায় অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বুনসং তেরিয়াপ্রিয়মকে ৪৮ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল।  দেশটির কারাগার কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে মোট ৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৬১ জন বন্দীর মধ্যে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৭ জন তাদের সাজা কমানোর জন্য আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। থাই সিংহাসনে আরোহণের পর থেকে মহা ভাজিরালংকর্ন তার শাসনের পক্ষে এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ রাজতন্ত্রের সংস্কার ও ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।  প্রধানন্ত্রী প্রায়ুত চান ওচার পদত্যাগও দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা। কয়েক দফা বিক্ষোভের পর রাজতন্ত্রের প্রতি অসম্মান জানানোর অভিযোগে দেশটির পুলিশ হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ও অ্যাক্টিভিস্টকে আটক করে। দেশটিতে বিশ্বের অন্যতম কঠোর রাজকীয় মানহানি আইন রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কোথাও রাজতন্ত্রের কোনো ধরনের সমালোচনা করা হলে সেটাকে বেআইনি বলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। আল জাজিরা।

সর্বশেষ খবর