কয়েক বছর ধরে দরকষাকষি। এরমধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে পুরো বের হয়ে যায় যুক্তরাজ্য। কিন্তু টানাপোড়েন শেষ হয় না। এই টানাপোড়েন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে। অবশেষে দুই পক্ষই মতৈক্যে পৌঁছেছে। এই ঘোষণার পর যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টি জানিয়েছে, চুক্তি পছন্দ না হলেও তারা সমর্থন করছে। কারণ, সমর্থন না করলে কোনো চুক্তিই হতো না।
এক হাজার ৫০০ পাতার চুক্তি। যার এক হাজার পৃষ্ঠা কেবলই অ্যানেক্সাচার এবং ফুটনোট। দীর্ঘ আলোচনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে যে বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, গতকালই তার আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জানানোর কথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফের মধ্যস্থতাকারী মিশেল বারনিয়ের। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পুরোপুরি ইইউ থেকে বিদায় নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। তারপরই নতুন বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হবে। নতুন বাণিজ্য চুক্তির খুঁটিনাটি বিষয়ে এখনো সবকিছু স্পষ্ট নয়। তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে বিষয়গুলো নিয়ে জটিলতা ছিল, তা কেটে গেছে। মাছ ধরাসহ একাধিক বিষয়ে দ্বিমত ছিল যুক্তরাজ্য এবং ইইউর মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সেই জটিলতা কেটেছে।
চুক্তি নিয়ে কি খুশি যুক্তরাজ্যের রাজনীতি : যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টি বাণিজ্য চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, যে চুক্তি হয়েছে, তা ভালো বলে তারা মনে করে না। চুক্তির মধ্যে একাধিক সমস্যা আছে। তা সত্ত্বেও তারা চুক্তিটিকে সমর্থন করছে। কারণ, না হলে কোনো চুক্তিই হতো না। যা আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করত। বস্তুত, গত কিছুদিনে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, মনে হচ্ছিল কোনো চুক্তি হওয়াই আর সম্ভব নয়।