শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার বিশ্বে যেভাবে স্বাগত ২০২১

করোনার বিশ্বে যেভাবে স্বাগত ২০২১

মিসরের কায়রোর কাছে নীল নদের ওপর মনোরম আতশবাজি -এএফপি

করোনা মহামারী পরিস্থিতির কারণে জারি করা বিভিন্ন বিধিনিষেধের মধ্যে বিশ্বজুড়ে সীমিত পরিসরে উদ্যাপন হচ্ছে খ্রিস্টীয় নববর্ষ। সিডনি থেকে শুরু করে নিউইয়র্ক পর্যন্ত বিশ্বের বড় বড় শহরে আতশবাজির প্রদর্শনী বাতিল করা হয়। তবে বিভিন্ন স্থানে আতশবাজির আলো থাকলেও মানুষের মনকে তা স্পর্শ করতে পারেনি। করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর দেশগুলো পুনরায় কঠোর লকডাউন বা চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তার পরও করোনার ভয় জয় করার প্রত্যয়ে বিভিন্ন দেশ ২০২১-কে কীভাবে স্বাগত জানায় তা জানা যাক।

ইউরোপের দেশগুলোর বর্ষবরণ আয়োজন : ফ্রান্সে নতুন বর্ষকে কারফিউর মধ্য দিয়ে স্বাগত জানাতে হয়েছে। দেশটির সরকার বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ৮টার পর কারফিউ শুরু করে। প্যারিসে মেট্রোর অর্ধেক লাইন বন্ধ করে দেয়। দেশটির বড় বড় শহরে নববর্ষ উপলক্ষে রাতে  রেস্তোরাঁ ও বারগুলোয় পার্টির আয়োজন বন্ধ করতে প্রায় ১ লাখ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর প্রায় ২ কোটি মানুষ তাই ঘরে বসে এবারের বর্ষবরণ করতে বাধ্য হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক শুভেচ্ছা বার্তায় দেশের সব নাগরিককে রোগ বিস্তার রোধে আরোপিত বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্য বছরগুলোয় লন্ডনের রাস্তায় পা ফেলার জায়গা থাকে না মানুষের ভিড়ে। কিন্ত এবারের নতুন বছরের রাতে রাস্তাগুলো শান্ত এবং সেখানে পুলিশ পাহারা ছিল যাতে কেউ রাস্তায় নামতে না পারে। তবে ‘লন্ডন আইয়ের’ সামনে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিশালাকার আতশবাজি ও আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়েছিল। যেগুলো ছিল জনশূন্য। ইতালিতে কারফিউ জারি হয়েছে। বার, রেস্তোরাঁসহ বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। পোপ ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে রোমে বর্ষবরণের আগের দিন ও নববর্ষের দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে এবার পোপের অসুস্থতার কারণে সব অনুষ্ঠান আগেই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

আমেরিকায় বর্ষবরণ : করোনার প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার প্রথম নাম যুক্তরাষ্ট্র। আর সে কারণেই এবারে বর্ষবরণের কোনোরকম আয়োজন ছিল না দেশটিতে। দেশটির ভিন্ন রাজ্যে কড়া বিধিনিষিধ আরোপ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। আলোর শহর হিসেবে খ্যাত নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারের বল, যেটাতে অন্যান্য বছরে মধ্যরাতে ট্র্যাডিশনালভাবে কাউন্টডাউন বা সময় গণনা করা হয় এবারে তাও বন্ধ রাখা হয়। তা ছাড়া সান ফ্রান্সিসকো ও লাস ভেগাসের শহরগুলোয়  আতশবাজি প্রদর্শন সীমিত করা হয়।

এশিয়া-প্যাসিফিক দেশগুলোয় বর্ষবরণ : নতুন বছরে ঘণ্টা বাজানোর প্রথম দেশগুলোর একটি অস্ট্রেলিয়া। দেশটির সিডনি শহরের আতশবাজি প্রদর্শনের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। এ বছরও তারা আতশবাজি প্রদর্শনের আয়োজন করে তবে তা উপভোগরে জন্য জনগণকে জমায়েত হতে দেয়নি পুলিশ। তাই অধিকাংশ সিডনিবাসী এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বাড়ি বসে উপভোগ করেন। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে এবারের নববর্ষের আতশবাজির আয়োজনটি বন্ধ রাখা হয়। তবে সারা দেশে শহরগুলোয় ছোট ছোট আকারে উৎসব উদ্যাপন করা হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর