শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নিজেকে ‘ক্ষমা’ করতে পারেন ট্রাম্প!

নিজেকে ‘ক্ষমা’ করতে পারেন ট্রাম্প!

ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের ব্যাপক তান্ডব এবং ভাঙচুরের পর গতকাল সারা দিন ধরে চলে পয়ঃপরিষ্কার করার কাজ -এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি যতই অপরাধ করুন না কেন, তাকে ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না। কিন্তু ক্ষমতা গেলে কোনো আইন নেই তাকে রক্ষা করতে পারে। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঝুলে রয়েছে ভূরি ভূরি অভিযোগ। তার ওপর যোগ হয়েছে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার ঘটনা। আর এ ঘটনায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ফলে সমর্থকদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এ ঘটনার জন্যও তদন্তের মুখে পড়তে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফলে জায়গা হতে পারে কারাগার। তাই হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে নিজেকে আইনি সুরক্ষা দিতে চান ট্রাম্প। পদাধিকার ব্যবহার করে নিজেই নিজের সব অপরাধ ক্ষমা করার পন্থা বেছে নিতে পারেন আমেরিকার বিদায়ী এ প্রেসিডেন্ট।

বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, প্রেসিডেন্ট থাকতে থাকতেই ট্রাম্প নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ খারিজ করে দিতে চান। যে প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘সেলফ পার্ডন’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শিগগিরই এ প্রক্রিয়া ঘোষণা করতে পারেন। ইতিমধ্যে হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নাকি এসব নিয়ে আলোচনা করে ফেলেছেন তিনি। ‘সেলফ পার্ডন’ ঘোষণা করলে প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর পরও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের আইনি তদন্ত করতে পারবে না পরবর্তী সরকার। আসলে, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ধরাশায়ী হলেও ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের হাতে রয়েছে ‘পাওয়ার অব ক্লিমেনসি’। অর্থাৎ কারও সাজা মাফ করে দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা। আর এর ফলেই ক্ষমা প্রার্থনার হিড়িক পড়েছে হোয়াইট হাউসের দরবারে। এ তালিকায় বিদায়ী  প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরাও রয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু তাই বলে নিজেই নিজের সব অপরাধ ক্ষমা! ইতিহাস বলছে, এর আগে আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমনটা করেননি। আর মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ক্ষেত্রে নিজেই বিচারকের আসনে বসতে পারেন না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের আইনি বৈধতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। কিন্তু মার্কিন সংবিধানে ‘পাওয়ার অব ক্লিমেনসি’র এক্তিয়ার স্পষ্ট করা নেই। সেক্ষেত্রে আইনি ফাঁকফোকর দিয়ে এ সুবিধা পেয়েও যেতে পারেন ট্রাম্প।

সর্বশেষ খবর