রবিবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

রাস্তা নিয়ে উত্তপ্ত শান্তিনিকেতন অনশনে উপাচার্য

কলকাতা প্রতিনিধি

রাস্তা নিয়ে উত্তপ্ত শান্তিনিকেতন অনশনে উপাচার্য

অবস্থান-পাল্টা অবস্থানে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন প্রাঙ্গণ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহারের জন্য দেওয়া রাস্তা অধিগ্রহণের প্রতিবাদে গতকাল শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলায় অনশন, অবস্থানে বসেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীদের একাংশ। গত ১ জানুয়ারি ওই রাস্তা অধিগ্রহণ করে পূর্ত দফতর। ২০১৭ সালে শান্তিনিকেতনে যাতায়াতের জন্য বিশ্বভারতীর কালিসায়র থেকে উপাসনা মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহারের জন্য দিয়েছিল রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রণালয়। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য হয়ে আসার পর ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মন্দিরে উপাসনা চলাকালীন এ রাস্তায় যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে সে সময় ক্ষোভ জানান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে আশ্রমিকরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। গত মাসে বীরভূম সফরে এসে বোলপুর প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পূর্ত দফতরকে রাস্তা অধিগ্রহণের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ১ জানুয়ারি ওই রাস্তা অধিগ্রহণ করে পূর্ত দফতর। ছাতিমতলায় অনশন-অবস্থান চলাকালে তার পাশেই উপাসনা গৃহের চারপাশে লাগানো বিজেপির পতাকাকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল সকালে বিজেপির দলীয় পতাকা চোখে পড়তেই তা সরিয়ে ফেলেন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রতিবাদী শিক্ষকদের বহিষ্কার, বিশ্বভারতীর প্রাঙ্গণকে রাজনীতিকীকরণের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম শিক্ষার্থীদের একাংশ।

এ ছাড়া পৌষমেলার সিকিউরিটি মানি ফেরতের দাবিতে উপাসনা মন্দিরের কাছে বিক্ষোভ দেখান কবিগুরু মার্কেটের ব্যবসায়ী ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, গত বছর পৌষমেলায় স্টল দেওয়ার জন্য উপাচার্যের নির্দেশে তাদের কাছ থেকে সিকিউরিটি মানি নেওয়া হয়েছিল এবং মেলার শেষে তা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও সেই অর্থ ফেরত দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ খবর