ইন্দোনেশিয়ার যাত্রীবাহী বিমানের মর্মান্তিক পরিণতি নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো চলছে উদ্ধারকাজ। পাশাপাশি কেন ভেঙে পড়ল বিমান, তার তদন্ত করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের আশঙ্কা, সমুদ্রে আছড়ে পড়ার পরই দুই টুকরা হয়ে যায় শ্রীবিজয়া এয়ার সংস্থার বিমান, ‘ফ্লাইট ১৮২’। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটির একজন তদন্তকারী নুরকায়হো উতোমো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, উড়োজাহাজটি সাগরে আছড়ে পড়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কেননা, যদি পড়ার সময় বিস্ফোরণ হতো, তাহলে ধ্বংসাবশেষ আরও বিশাল এলাকায় ছড়িয়ে পড়ত। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যে উদ্ধার করা চাকা ও উড়োজাহাজের কাঠামোর বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। উদ্ধার জিনিসপত্রের মধ্যে একটি ইঞ্জিনের টারবাইন রয়েছে। এর আগে রবিবার বোয়িং ৭৩৭-৫০০ বিমানটির দুটো ব্ল্যাকবক্সসহ আরও কিছু অংশ জাভা সমুদ্র থেকে উদ্ধার করেন ডুবুরিরা। পানির ৭৫ ফুট নিচে পাওয়া গেছে ওই ধ্বংসাবশেষ। ইন্দোনেশিয়ান বিমান সংস্থা শ্রীবিজয়া এয়ারের ওই বিমানে যাত্রী এবং কর্মীসহ ৬২ জন ছিলেন। কেন বিমানটি ভেঙে পড়ল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার পর কারও বেঁচে থাকার চিহ্নও পাওয়া যায়নি।