শিরোনাম
শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বাইডেনকে ‘লক্ষ্য করে’ কিমের নতুন সামরিক পরিকল্পনা

বাইডেনকে ‘লক্ষ্য করে’ কিমের নতুন সামরিক পরিকল্পনা

নতুন নতুন সমরাস্ত্র তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সম্প্রতি তাঁর জন্মদিন পালন করেছেন। অস্ত্রের এই দীর্ঘ তালিকার মধ্যে রয়েছে : দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যা আরও নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে, রকেট কিম্বা ক্ষেপণাস্ত্রে বহনযোগ্য বিশালাকৃতির বোমা বা ওয়ারহেড, গুপ্তচরবৃত্তির জন্য স্যাটেলাইট এবং পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ ইত্যাদি। দেশটিতে গত পাঁচ বছরের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দেশটির এই সামরিক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়, যাকে পশ্চিমা বিশ্ব বড় ধরনের হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে।

বাস্তবে দেখাও গেল তাই, সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপ করা যায় এমন নতুন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনী করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র’ বলেও অভিহিত করেছে। পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সুং চত্বরে হওয়া কুচকাওয়াজে নতুন ধরনের এ ক্ষেপণাস্ত্রের কয়েকটি দেখানো হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। এই কার্যক্রম একই সঙ্গে দেখা হচ্ছে কিম জং-উনের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ হিসেবেও। কারণ এই পরিকল্পনার কথা ও মহড়া এমন এক সময়ে করা হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পরিবর্তন হতে যাচ্ছে এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। এর মধ্যে কিম জং-উন উত্তর কোরিয়ার শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সর্বোচ্চ সাধারণ সম্পাদক পদেও উন্নীত হয়েছেন।

কেন এই ঘোষণা :  ‘কোনো সন্দেহ নেই যে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে লক্ষ্য করেই কিমের এই ঘোষণা। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র-সক্ষমতার গুণগত অগ্রগতি ঘটবে যা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর।’ এই মন্তব্য করেছেন অঙ্কিত পান্ডা। যিনি ‘কিম জং-উন ও বোমা’ এই শিরোনামে উত্তর কোরিয়ার নেতার ওপর একটি বই লিখেছেন। তিনি বলছেন, ‘জো বাইডেনের প্রশাসনের উচিত বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া।’ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে মোট তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে কিন্তু উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করা ও দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে তারা কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি। এখন প্রশ্ন উঠেছে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কি এ বিষয়ে কিছু করতে পারবেন।

এ বিষয়ে পান্ডা বলেন, ‘আমি মনে করি নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের উচিত কিম জং-উনের ঘোষণাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা এবং যত দ্রুত সম্ভব তার প্রশাসনের পরিষ্কার করা উচিত যে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য সমঝোতা থেকে তারা কোন লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।’

তবে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যা নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির একজন গবেষক ডোয়েন কিম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রথম এগিয়ে আসতে হবে এবং কোনো সমঝোতা হলে তার জন্যও একটা মূল্য দিতে হবে।

‘শক্তিশালী’ ক্ষেপণাস্ত্র দেখাল : উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএর ছবিতে বৃহস্পতিবারের কুচকাওয়াজে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপ করা যায় এমন চারটি ক্ষেপণাস্ত্র দেখানো হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আগে কখনো দেখানো হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন সামরিক বিশ্লেষকরা। ‘নতুন বছর, নতুন পুকগুকসং’ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে যে নামে ডাকা হচ্ছে, তা উল্লেখ করে এক টুইটে এমনটাই বলেছেন উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ অঙ্কিত পান্ডা। বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর