শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

১.৯ ট্রিলিয়ন ত্রাণ তহবিলের ঘোষণা বাইডেনের

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

১.৯ ট্রিলিয়ন ত্রাণ তহবিলের ঘোষণা বাইডেনের

করোনার থাবায় লন্ডভন্ড এবং বিপর্যস্ত আমেরিকানদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যুগান্তকারী বিশাল ত্রাণ তহবিলের ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ডেলাওয়ারের নিজ শহর উইলমিংটন থেকে একটি প্রাইমটাইম বক্তৃতায় তিনি এ ঘাষণা দেন। এ সময় বাইডেন বলেন, সময়ক্ষেপণের কোনো অবকাশ নেই। এক্ষুণি পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চাঙ্গা করতে হবে। অভাবী আমেরিকানরা যাতে পুষ্টিকর খাদ্য ক্রয়ে সক্ষম হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর আগে তিনি ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের আরেকটি ‘করোনা স্টিমুলাস প্যাকেজ’ ঘোষণা করে অবিলম্বে কংগ্রেসকে তা পাসের অনুরোধ জানান। এ প্যাকেজে রয়েছে মাথাপিছু ১ হাজার ৪০০ ডলারের (ইতিমধ্যেই ৬০০ ডলার করে প্রেরণ করা হচ্ছে) চেক, যা সরাসরি আমেরিকানদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। বেকার ভাতায় যোগ হবে সপ্তাহে ৪০০ ডলার করে (বর্তমানে ৩০০ ডলার দিচ্ছে ফেডারেল সাপ্লিমেন্ট হিসেবে)। স্কুল এবং সিটি ও স্টেটের বাজেট ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার বিশেষ মঞ্জুরি ছাড়াও থাকবে দায়গ্রস্ত ভাড়াটে ও ল্যান্ডলর্ডদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, করোনার প্রকোপ শুরুর পরই গত মার্চে ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ‘স্টিমুলাস প্যাকেজ’ পাস করেছিল কংগ্রেস। সে সময় মাথাপিছু ১ হাজার ২০০ ডলার (অপ্রাপ্ত বয়স্করা ৫০০ ডলার) করে এককালীন পেয়েছেন। সাপ্তাহিক বেকার ভাতায় ফেডারেল থেকে দেওয়া হয় ৬০০ ডলার করে। ৩১ জুলাই সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর রিপাবলিকানদের অসহযোগিতা দীর্ঘতর হওয়ায় সর্বশেষ গত মাসে ৯০০ বিলিয়ন ডলারের আরেকটি স্টিমুলাস বিল পাস হয়েছে। সে অনুযায়ী মাথাপিছু ৬০০ ডলারের চেক প্রেরণ করা হচ্ছে। সপ্তাহে বেকার ভাতায় যোগ হচ্ছে ৩০০ ডলার করে। মার্চের ১৪ তারিখ এ কর্মসূচি শেষ হয়ে যাবে। তারপরই বাইডেনের এ প্যাকেজ যাতে কার্যকর করা যায় সে জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানালেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি নাজুক পরিস্থিতির আলোকপাত করেন। করোনা ভ্যাকসিন দ্রুত প্রদানে রূপরেখা বিশ্লেষণ করেন। অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। বাইডেন বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টা ৭.২৫ ডলার থেকে ১৫ ডলার করতে হবে। বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এ বৃদ্ধি করার পরও সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের বিনিময়ে যে অর্থ পাওয়া যাবে তা প্রত্যাশার পরিপূরক হবে না। তাই বহু পুরনো ওই মজুরি বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রতি। এ সময় তিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া ইমপিচমেন্টের আলোকে সিনেটেও তা পাসের অনুরোধ জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর