রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ বিভিন্ন স্টেটের রাজধানীতে সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের টহল অব্যাহত থাকায় অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ব্লাইন্ড সাপোর্টার’দের সশস্ত্র অভিযান ভণ্ডুল হয়ে গেছে। তবে তারা বেশ কটি এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে। এদিকে বাইডেনের অভিষেকে ফের হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। নিন্ডিদ্র নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তা কর্মীরাও তল্লাশির আওতায় রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। ট্রাম্পের ‘ব্লাইন্ড সাপোর্টার’দের পূর্বঘোষিত ‘সশস্ত্র অভিযাত্রা’র কর্মসূচি ছিল শনি ও রবিবার। কিন্তু দুই দিনের অভিযানই ভেস্তে গেছে। তবে বুধবার জো বাইডেন আর কমলা হ্যারিসের অভিসিক্ত না হওয়া পর্যন্ত ক্যাপিটল হিলসহ সব স্টেটের রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ সিটিতে নিন্দ্রি নিরাপত্তা অব্যাহত থাকছে। ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে ট্রাম্পের আহ্বানে তার সশস্ত্র সমর্থকরা ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে জঙ্গি হামলা চালানোর পরই সর্বত্র সেনাবাহিনী নামানো হয়। ওয়াশিংটন ডিসিতে জরুরি অবস্থা জারি করা আছে অনির্দিষ্টকালের জন্যে। এ অবস্থায় এখন সর্বত্রই সেনা সদস্য আর সমর-সজ্জিত গাড়ি চোখে পড়ছে। পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, উইসকনসিন, জর্জিয়া, নিউজার্সি, নিউইয়র্ক, আরিজোনাসহ আরও কয়েকটি স্টেটে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বেশ কটি স্টেট পার্লামেন্ট এবং স্টেট গভর্নর অভিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ট্রাম্পের সশস্ত্র লোকজনের তান্ডবের আশঙ্কায়।
এদিকে বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পরও চোরাগুপ্তা হামলার শঙ্কা কেউই উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কারণ, ট্রাম্পকে অভিশংসনের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া চলবে ২১ জানুয়ারি থেকেই। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি যাতে প্রার্থী হতে না পারেন সেটি মনেপ্রাণে চাচ্ছেন ‘গণতন্ত্রী রিপাবলিকান’রাও। প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনো সুবিধাও দিতে আগ্রহী নয় কংগ্রেস। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কালো অধ্যায়ের সংযোজনকারী ট্রাম্পের লজ্জানকভাবে ক্ষমতা ত্যাগের পর অন্য সাধারণ নাগরিকের মতোই দিনাতিপাত করতে হবে তাকে। ঝুলে থাকা মামলাগুলোও পুনরুজ্জীবিত হবে।