বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক দল গড়বেন ট্রাম্প

রাজনৈতিক দল গড়বেন ট্রাম্প

বিদায় হোয়াইট হাউস। ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের হাত ধরে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন -এএফপি

অনেক পানি ঘোলা করে অবশেষে গতকাল হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গোটা বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম তাঁকে অদ্ভুত সব আচরণ ও সিদ্ধান্তের জন্য মনে রাখবে, এটা নিশ্চিত। গতকাল হোয়াইট হাউস থেকে শেষ ভাষণও দিয়েছেন। তার এই ভাষণে, নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার কথা বলেছেন। তার দলের নাম হতে পারে ‘প্যাট্রিয়ট পার্টি’। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এরই মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তাভাবনা নিয়ে তার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি বলেন, আমাদের যে আন্দোলন চলছে সেটি হচ্ছে মাত্র শুরু। গত মঙ্গলবার ট্রাম্প অঙ্গীকার করে বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তিনি কোনোভাবেই হারিয়ে যাবেন না। যে আন্দোলন চালু হয়েছে তা কেবল শুরু। তবে ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে রিপাবলিকান দল। দলের একাংশ ট্রাম্পের বিচ্ছিন্ন এজেন্ডায় সমর্থন দিয়ে গেছেন আবার আরেক অংশ তার কট্টর অবস্থান অপছন্দ করেন। ইউটিউবে আপলোড করা এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্প বলেন, তাঁকে অনেক কঠিন লড়াইয়ের মোকাবিলা করতে হয়েছে। কারণ সে জন্যই তাঁকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। তবে ট্রাম্প এখনো মনে করেন গত নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি হারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তৃতীয় দল গড়ে তোলার প্রচেষ্টা এটাই নতুন নয়। এর আগেও হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অতি রক্ষণশীল এজেন্ডাগুলো নিয়ে রাজনীতিতে আলাদা দল গঠন করলে তাঁকে রিপাবলিকান দলের কিছু নেতাকেও দলে নিতে হবে। রিপাবলিকান দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও সিনেটে দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার জন্য ট্রাম্পকে দুষছেন অনেকে। রিপাবলিকান দলের অনেক নেতা ট্রাম্পকে তাঁদের জন্য বোঝা মনে করছেন। ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর মিচ ম্যাককনেলই হচ্ছেন রিপাবলিকান দলের জ্যেষ্ঠ নেতা। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ম্যাককনেল বিশ্বাস করেন ট্রাম্প যা করেছেন তাতে তাঁকে ইমপিচ করা প্রয়োজন। অনেক রিপাবলিকান নেতা এখন ট্রাম্পকে দ্রুত ভুলে যেতে চাইছেন। তবে গত নির্বাচনে যে ৭ কোটি ৪০ লাখ মানুষ  ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিল দলে তার প্রভাব পড়বেই। বিষয়টিতে ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প বলেন, মিলিয়নস দেশপ্রেমিক মিলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বড় রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলেছি।

সর্বশেষ খবর