সন্ত্রাসী সংগঠন বা সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার সহায়তা হিসেবে অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও ‘অবস্থার উন্নতি’ দেখা যাচ্ছে না পাকিস্তানে। তাই ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ) দেশটিকে এ মাসেই ‘কালো তালিকা’ভুক্ত করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তান বর্তমানে এফএটিএফের ‘ধূসর তালিকা’য় রয়েছে। এফএটিএফ গঠিত হয় ১৯৮৯ সালে। আন্তসরকারি অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন দমনে এ সংস্থা বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। কোনো দেশকে তারা কালো তালিকাভুক্ত করলে সে দেশে আন্তর্জাতিক ঋণ বা উন্নয়ন সহায়তা নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
পাকিস্তান কথা দিয়েছিল, সন্ত্রাসে অর্থায়নে তারা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, এতে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাখ্যায় এফএটিএফ মোটেই সন্তুষ্ট নয়। তাই গত বছরের অক্টোবরে সংস্থাটির পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পাকিস্তানকে ‘দৃশ্যমান উন্নতি’ উপস্থাপনের জন্য ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া হয়।এফএটিএফ প্রেসিডেন্ট মার্কাস প্লিয়ার বলেন, পাকিস্তানের ওয়াদা আর বাস্তবতার মধ্যে বিস্তর ফারাক। তাই সে শুদ্ধ হয়েছে তা দেখবার জন্য আমরা চিরকাল অপেক্ষা করতে পারি না। ১৯-২১ ফেব্রুয়ারি যে অধিবেশন হবে তাতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
এফএটিএফের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সন্ত্রাসী সংগঠন জামাতুদ দাওয়া ও জইশ-ই-মুহাম্মদ পাকিস্তানে বেশ আরামে কাজ করছে। তারা পাঞ্জাবের কয়েকটি শহরে ব্যয়বহুল অনুষ্ঠান করছে। যোদ্ধাদের শীতবস্ত্র, মোজা, ট্রাউজার ইত্যাদি কেনার জন্য মুক্ত হাতে চাঁদা দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ব্যানার টানাচ্ছে। পাকিস্তান সরকার এসব কাজে বাধা দিচ্ছে না। এতে এফএটিএফ রুষ্ট।