শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে আশার আলো

মধ্যপ্রাচ্যের কে পরাশক্তি হবে তা নিয়ে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে বহু যুগ ধরে দ্বন্দ্ব। সৌদি আরব চায় না ইরান পারমাণবিক শক্তিশালী দেশ হোক। আবার ইরান চায় না অর্থের জোরে সৌদি আরব গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়ি ঘুরাক। এই অবস্থায় ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তি হয়। যা পরমাণু চুক্তি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেই চুক্তি না মানার কথা বলে ২০১৮-তে এই চুক্তি থেকে সরে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইরান পরমাণু অস্ত্রের কাঁচামাল ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। তবে জো বাইডেন মার্কিন ক্ষমতায় আসার পর ইঙ্গিত দিয়েছেন, তার দেশ ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু   চুক্তিতে ফিরতে চায়। এবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিল, তারা  ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে চায়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, ‘ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ও জার্মানির আমন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করবে।’ ২০১৯ সালে ইরান চুক্তি ভেঙে ইউরেনিয়াম মজুতের  পরিমাণ বাড়ায়।

 

গত কয়েক মাসে ইউরেনিয়াম মজুত তারা অনেকটাই বাড়িয়েছে। তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজও করছে। পরমাণু বোমার জন্য এটা জরুরি। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি ভিডিও-বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রর নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন। তারপর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান যদি ২০১৫-র পরমাণু চুক্তি মানে, তা হলে যুক্তরাষ্ট্রও চুক্তিতে ফিরবে এবং ইরানের সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘যুক্তরাষ্ট্রকেই আলোচনার জন্য উদ্যোগী হতে হবে। ইউরোপের দেশগুলি আগে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পালন করুক এবং ট্রাম্প যেভাবে ইরানের উপর যাবতীয় দায় চাপিয়ে দিয়ে আর্থিক সন্ত্রাসবাদের পথ নিয়েছিলেন, তার থেকে সরে আসুক যুক্তরাষ্ট্র। আমরা আগে কাজ দেখতে চাই।’

সর্বশেষ খবর