রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মিয়ানমারে বিক্ষোভে গুলি

জান্তাকে ক্ষমতা ছাড়তে বলল যুক্তরাষ্ট্র

মিয়ানমারে বিক্ষোভে গুলি

মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠছে। গতকাল দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এতে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসক ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাঁদের ওপর গুলি চালায়। এর আগে সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভের সময় গুলিতে ২০ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুর পর সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে গণবিক্ষোভ। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই মৃত্যুর পর দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু, কবি-সাহিত্যিক-লেখক-চিত্রশিল্পী, পরিবহন শ্রমিকের মতো বৈচিত্র্যময় শ্রেণি-পেশার মানুষকে এক কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আবারও ক্ষমতা ছাড়তে জান্তা সরকারকে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। এক খবরে বলা হয়েছে, নিহত বিক্ষোভকারী মিয়া থতে থতে খাইংয়ের স্মরণে ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল সেখানে ফুল দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিনের বিক্ষোভে যুক্ত হয়েছেন নাগা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা। তাদের নেতা কি জং বলেন, ‘আমরা স্বৈরশাসনের অধীনে ফেডারেল রাষ্ট্র গঠন করতে পারি না। আমরা জান্তা সরকারকে মেনে নিতে পারছি না।’ বিক্ষোভকারীরা গণতান্ত্রিক সরকারকে পুনর্বহাল, সু চি ও অন্যান্য রাজনীতিকদের মুক্তি এবং ২০০৮ সালের সংবিধান বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। জাতিগত সংখ্যালঘুরা বিক্ষোভে নতুন সংবিধানে ‘ফেডারেল সিস্টেম’ রাখারও দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া চীন জাতিগোষ্ঠীর সদস্য সালাই মন বোই জানান, গতকালের বিক্ষোভে জাতিগত সংখ্যালঘুরা মূলত চারটি দাবির কথাই জোরের সঙ্গে উচ্চারণ করেছে। এগুলো হলো- সংবিধান বাতিল, স্বৈরতন্ত্রের অবসান, ফেডারেল সিস্টেম চালু ও সব বন্দীর মুক্তি। তিনি এও বলেন, ‘অনেকেই আছে যারা এনএলডিকে পছন্দ করে না। কিন্তু আমরা এনএলডিকে নিয়ে কথা বলছি না।’ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গতকালও ষষ্ঠ রাতের মতো মিয়ানমারে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়। ইন্টারনেট পর্যবেক্ষক নেটব্লকস বলছে, মিয়ানমারে উইকিপিডিয়া বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশ কিছু আধেয়তেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় হুঁশিয়ার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সম্প্রতি তিনি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নিতে মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে বেঠক করেছেন। রয়টার্স, বিবিসি ও সিএনএন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর