সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার সেই মুহূর্ত

মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার সেই মুহূর্ত

মুহূর্তেই চলে আসছে অনেক ছবি। পৃথিবীতে বসে লাল গ্রহের ভূমি দেখে উদ্ভাস তো ছড়িয়ে পড়ার কথাই। কিন্তু সবাইকে নাড়া দিচ্ছে সেই প্রথম ছবি। যাকে বলা হচ্ছে ঐতিহাসিক মুহূর্তের ছবি। কীভাবে মঙ্গলের মাটি ছুঁয়ে ছিল পারসিভিয়ারেন্স রোভার। জেজেরো ক্র্যাটারের মাটি ছুঁয়ে সফল হয়েছে নাসার মঙ্গলাভিযান। সেই ছবিই আসছে নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে। বৃহস্পতিবার পারসিভিয়ারেন্স রোভারের হাইরাইস ক্যামেরায় তোলা ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। হাই রেজোলিউশন ইমাজিং এক্সপেরিমেন্ট বা হাইরাইস ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে প্যারাশুটের ছবি। এই ক্যামেরা পারসিভিয়ারেন্স থেকে ৪৩৫ মাইল দূরে রয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ৬৭৫০ মাইল বা প্রতি সেকেন্ডে ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করছে। মঙ্গলগ্রহে গভীর এক গর্তে নেমেছে রোবট। জানা গেছে, ছয় চাকার এই যান আগামী দুই বছর মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ করবে। মঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাণের সন্ধান চালাবে এই মহাকাশযানটি। অতীতে বা বর্তমানে মঙ্গলে কোনো প্রাণ ছিল কিনা তার সন্ধান চালাবে নাসার পাঠানো এই রোভার। প্রথম ছবিটিতেই দেখা গেছে স্রোত বয়ে যাওয়া কোনো এলাকা। মনে হবে এক সময় পানির প্রবাহ ছিল।

নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, রোভারটি মঙ্গল গ্রহের ওপরে থাকা ব-দ্বীপের মতো চেহারার একটি অংশের দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবতরণ করেছে। আগামী দুই বছর এই এলাকাটিতেই পারসিভেয়ারেন্স প্রাণের সন্ধান চালাবে। নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমান, মঙ্গলগ্রহে পাথরের যে কোনো রকম অণুজীবের অস্তিত্ব সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। ফলে অতীতে যদি মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব থেকেও থাকে, তাহলে এই পাথরের মধ্যে তার ইঙ্গিত মেলার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।

মঙ্গলগ্রহে কোটি-কোটি বছর আগে যে হ্রদ ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে সেখানে পলির মতো সেডিমেন্ট দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা লালগ্রহের এই অংশটি নিয়ে খুবই উৎসাহিত। এই এলাকাটি রোভারের মারফত খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে চান বিজ্ঞানীরা। তবে মঙ্গল গ্রহের বর্তমান আবহাওয়া বেঁচে থাকার অনুকূল নয় বলেই জানাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। সেখানে আবহাওয়া এতই ঠান্ডা যে পানি সেখানে তরল অবস্থায় থাকতে পারে না। তাছাড়া মঙ্গলগ্রহের বায়ুমন্ডলের স্তরও খুবই পাতলা। সে কারণেই সূর্যের চড়া আলোকরশ্মি এখানে পড়লে মাটির উপরিভাগের সব কিছু ধ্বংস করে দেয়। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলগ্রহের এখনকার পরিবেশের তুলনায় কয়েকশ কোটি বছর আগেকার ছবিটা এক ছিল না। সেই সময় মঙ্গলে জল ছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। গতকাল নাসা নিজেদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ও ইউটিউবে একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে।

সর্বশেষ খবর