সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতে করোনার নতুন প্রজাতি, টিকার পরও হতে পারে সংক্রমণ

বিশ্ব পরিস্থিতি

বিশ্বে যখন করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় পৌনে ২৫ লাখ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১১ কোটি ১৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে তখন ভারতেও এ ভাইরাসের নতুন ধরন পাওয়ায় গভীর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বলা হচ্ছে, টিকা নেওয়ার পরও এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। আনন্দবাজার, রয়টার্স।

করোনাভাইরাসের নতুন যে প্রজাতি ভারতে ধরা পড়েছে, তা আরও ভয়ঙ্কর বলে দাবি করেছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়ার। তার দাবি, করোনার নতুন ভারতীয় প্রজাতি অন্যগুলোর চেয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। এটা খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, আবার শরীরে অ্যান্টিবডি থাকলেও তা এর সংক্রমণ থামাতে পারে না। সংস্থাটি ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রথম করোনার এই নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছে। এরপর এখন পর্যন্ত মোট ২৪০ জনের শরীরে এই নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পেছনেও এই নতুন প্রজাতিই দায়ী বলে মনে করছে মহারাষ্ট্র সরকারের করোনা টাস্ক ফোর্স। মহারাষ্ট্র ছাড়াও কেরালা, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড় ও পাঞ্জাবেও ফের আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে।

১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে এই মুহূর্তে টিকাদানে জোর দিচ্ছে দেশটির সরকার। প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মী এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় দফায় প্রাধান্য পাবেন ২৪ কোটি পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন মানুষ।

তবে গুলেরিয়ার বলছেন, ‘ভারতের মতো দেশে ব্যাপক হারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। যখনই ভাইরাস চরিত্র বদল করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয়, তখন টিকা নেওয়ার পরেও যে কেউ নতুন করে সংক্রমিত হতে পারেন।’

এই মুহূর্তে অক্সফোর্ড এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক এবং আইসিএমআরের তৈরি কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধকই ভারতে টিকাদানের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো সাময়িক করোনাকে সংক্রমণ রোধে সক্ষম হলেও, করোনার নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে সেগুলোর কার্যকারিতা তুলনামূলক কম হবে বলে জানিয়েছেন গুলেরিয়া।

সর্বশেষ খবর