শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আটলান্টিকে এল নিনোর প্রভাব ব্যাপক বন্যা ও খরার আভাস

আটলান্টিক মহাসাগরে পড়তে শুরু করেছে এল নিনোর প্রভাব (এল নিনো হলো বায়ুমন্ডলীয় এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের সমুদ্রগুলোর মাঝে একটি পর্যায়বৃত্ত পরিবর্তন। যা বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত)। আর এর প্রভাব পড়তে চলেছে আফ্রিকা থেকে আমেরিকা পর্যন্ত। এমনটাই জানা গেছে আবহাওয়া সংক্রান্ত নয়া গবেষণা থেকে। সাধারণ এল নিনোর থেকে একটু আলাদা আটলান্টিক এল নিনো। তবে এর সঙ্গে বেশকিছু মিল রয়েছে এল নিনো সাউদার্ন অসিলিয়সনের। আটলান্টিক এল নিনো সমুদ্রের উপরিভাগের বাতাসের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। একই কাজ করে এল নিনো সাউদার্ন অসিলিয়সন। আটলান্টিক সাগরে এল নিনো তখনই সৃষ্টি হয় যখন আফ্রিকার সাগর, দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর অংশের সমুদ্রের পানি স্বাভাবিকের থেকে বেশি গরম হয়ে যায়। এর জেরে ব্যাপক বৃষ্টি ও বন্যার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে পশ্চিম আফ্রিকা, দক্ষিণ নাইজেরিয়ায়। আবার খরা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে সাহেলে (পশ্চিম আফ্রিকার একটি অঞ্চল)। প্রসঙ্গত, দক্ষিণের পর্যাবৃত্ত চক্র হচ্ছে এল নিনোর বায়ুমন্ডলীয় অবস্থার ঠিক বিপরীত অবস্থা। উষ্ণমন্ডলীয় উত্তর এবং উষ্ণমন্ডলীয় দক্ষিণ শান্ত সমুদ্রের মধ্যে এটি একটি পর্যায়বৃত্ত চক্র। দক্ষিণের পর্যাবৃত্ত চক্র বা ইংরেজিতে সাউদার্ন অসিলিয়সনের শক্তিমাত্রাকে সাউদার্ন অসিলিয়সন ইন্ডেক্স হিসেবে পরিমাপ করা হয়। এই সাউদার্ন অসিলিয়সন ইন্ডেক্স তাহিতি এবং ডারউইন, অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার উপরিভাগের বায়ুচাপের পার্থক্য থেকে গণনা করা হয়ে থাকে। এল নিনোর ঘটনা প্রবাহ সাউদার্ন অসিলিয়সন ইন্ডেক্সের নেগেটিভ মান সূচিত করে, যার মানে দাঁড়ায়- ডারউইন থেকে তাহিতিতে বায়ুচাপ তুলনামূলকভাবে কম। এল নিনো হলো বায়ুমন্ডলীয় এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের সমুদ্রগুলোর মাঝে একটি পর্যাবৃত্ত পরিবর্তন।

সর্বশেষ খবর